তুমব্রু থেকে কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে আরও ৫৩ রোহিঙ্গা পরিবার

রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তা
কক্সবাজারের উখিয়ায় অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প। এএফপি ফাইল ছবি

বান্দরবানের নাইক্ষ্যছড়ি উপজেলার গুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রুতে থাকা আরও ৫৩টি রোহিঙ্গা পরিবারের ২৭৩ জন সদস্যকে কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে সরিয়ে আনা হেয়েছে।

কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'আজ সোমবার দ্বিতীয় দিনে তাদের (রোহিঙ্গা) কুতুপালং রেহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়ে। এ নিয়ে ২ দিনে ৮৮ পরিবারের ৪৫৭ জনকে তুমব্রু থেকে সরিয়ে আনা হলো।'

গতকাল রোববার প্রথম দিনে ৩৫টি পরিবারের ১৮৪ জন সদস্যকে ট্রানজিট ক্যাম্পে আনা হয়েছিল। একই প্রক্রিয়ায় তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশে-পাশের এলাকায় তাবু খাটিয়ে অবস্থান নেওয়া ৫৫৮ পরিববারের মোট ২ হাজার ৯৭০ জন রোহিঙ্গাকে সরিয়ে আনা হবে বলেও জানান মিজানুর রহমান।

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, 'প্রথম দিন ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা ১৮৪ জন রোহিঙ্গার সবার আগে থেকেই বিভিন্ন ক্যাম্পের আওতায় নিবন্ধন ছিল। সে অনুসারে যাচাই-বাছাই করে তাদের স্ব স্ব ক্যাম্পে পাঠানো হয়। যাদের নিবন্ধন নেই, তাদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করে উখিয়া ও টেকনাফের ক্যাম্পগুলোতে পাঠানো হবে।'
গত ১৮ জানুয়ারি  নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের কোনারপাড়ার শুণ্যরেখায় বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প এলাকায় মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসা এবং আরএসও'র মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে শূণ্যরেখার ক্যাম্প থেকে পালিয়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ডের তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকায়  তাবু টাঙিয়ে অবস্হান নেন বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গারা।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাস্তচ্যুত হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় আট লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এর আগে বিভিন্ন সময়ে পালিয়ে আসা সহ অনন্ত ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয় কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩ টি অস্থায়ী আশ্রয় ক্যাম্পে।

ওইসব ক্যাম্পের সার্বিক দেখভাল ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছে আরআরআরসি (শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার)। অপরদিকে তুমব্রুর কোনারপাড়া শূণ্যরেখায় অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পটির দায়িত্ব পালন করে আসছিল আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট কমিটি (আইসিআরসি)। ক্যাম্পটিতে ৬৩০ পরিবারের সাড়ে ৪ হাজারের মতো রোহিঙ্গা বসবাস করে আসছিল।

গত ১৮ জানুয়ারির সহিংস ঘটনায় হামিদ উল্লাহ নামে এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নিহত এবং ২ জন আহত হয়। এ সময় শূন্যরেখার বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের বসতঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয় ।

Comments

The Daily Star  | English

If consensus commission fails, it will be a collective failure: Ali Riaz

He made the remarks in his opening statement during the 14th day of the second phase of dialogues with political parties

10m ago