সেতুর ওপর ‘সিএনজি স্ট্যান্ড’

সেতুর ওপর সিএনজি স্ট্যান্ড
জামালপুরে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র সেতুর ওপর সিএনজিচালিত অটোরিকশার অবৈধ স্ট্যান্ড। ছবি: শহিদুল ইসলাম নিরব/স্টার

জামালপুরে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র সেতুর ওপর সিএনজিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড অবৈধভাবে বসেছে। ফলে, জামালপুর-শেরপুর সড়কে প্রতিনিয়ত দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে।

একই সঙ্গে চাঁদাবাজিও চলে আসছে প্রকাশ্যে।

বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জামালপুর ও শেরপুর জেলায় সরাসরি যাতায়াত সুবিধার জন্য পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর সেতু ১৯৯৮ সালে উদ্বোধনের শুরু থেকেই উভয় জেলার স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র সেতুটি দখল করে সিএনজিচালিত ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড বসায়।

এক সঙ্গে ২ শতাধিক সিএনজি, দেড় শতাধিক অটোরিকশা ও শতাধিক নসিমন সবসময় দাঁড়ানো থাকে এবং সেগুলো পর্যায়ক্রমে ছেড়ে যায়।

আরও দেখা যায়, স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রকরা স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে সিরিয়াল নিয়ন্ত্রণ ও টোকেনের মাধ্যমে টাকা তুলেন। বেশিরভাগ সময়ই রাস্তায় যানজট লেগে থাকে।

সেতুর ওপর সিএনজি স্ট্যান্ড
জামালপুরে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র সেতুর ওপর সিএনজিচালিত অটোরিকশার অবৈধ স্ট্যান্ডের কারণে প্রায় সময়ই সেখানে দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে। ছবি: শহিদুল ইসলাম নিরব/স্টার

ট্রাকচালক শাহাব উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যানজটের কারণে সেতু পার হতে ৪০/৫০ মিনিট সময় লেগে যায়। সেতুর বেশিরভাগ অংশ সিএনজি, অটোরিকশা ও নসিমন দিয়ে বন্ধ থাকে। যানজট না থাকলে সেতু পার হতে ৩-৪ মিনিট সময় লাগে।'

অটোরিকশাচালক হাবিবুর রহমান হিমু ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সিএনজি ও অটোরিকশা স্ট্যান্ডের জায়গা না থাকায় আমরা সেতুর ওপরেই গাড়ি রাখি।'

স্ট্যান্ডে সিএনজিচালিত অটোরিকশা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলাল মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের স্ট্যান্ড আছে। সেটা সেতু থেকে আধা কিলোমিটার দূরে। এ কারণে সেখানে গিয়ে যাত্রীরা যানবাহনে উঠতে চান না। যাত্রীদের সুবিধার্থে আমরা সেতুর ওপর অটোরিকশা রাখি।'

জামালপুরের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পঙ্কজ ভৌমিক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সেতুটি জামালপুরে হলেও এটি শেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করে। তাই বিষয়টি নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।'

শেরপুরের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড উচ্ছেদের চেষ্টা করলেও সেতুটি ২ জেলার মধ্যবর্তী হওয়ায় আমরা ব্যর্থ হয়েছি।'

জামালপুরের জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায় ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ডের কারণে সব সময় দীর্ঘ যানজট লেগেই থাকে। শেরপুরের জেলা প্রশাসন স্ট্যান্ড উচ্ছেদের জন্য চাইলে আমরা সহযোগিতা করব।'

Comments

The Daily Star  | English

Made with US cotton? Pay less at US customs

US customs will apply a tariff rate only to the non-American portion of a product's value

10h ago