বাংলাদেশ

চিকিৎসকদের ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতি, ভোগান্তিতে রোগীরা

আজ বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে
Khulna Map
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শেখ নিশাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদে খুলনায় ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু করেছে চিকিৎসকরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা। 

আজ বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।

সকাল থেকেই সরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

সকালে খুলনা নগরীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, গেটে তালা ঝোলানো। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে জরুরি বিভাগে শুধু চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। নগরীর কোনো বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র খোলা নেই।

খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার শৈলমারি গ্রাম থেকে স্ত্রী তৃপ্তি বৈরাগীকে নিয়ে খুলনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা দিপ্র বৈরাগী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অপারেশনের পর আমার স্ত্রীর সেলাই কাটতে এসেছিলাম। এসে দেখি কোনো ডাক্তার নেই। আমাকে ২ থেকে দিন পর আসতে বলেছে। তাই এখন বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। শুধু শুধু ভোগান্তি হলো।'

মংলা থেকে ছেলের চিকিৎসার জন্য খুলনা জেনারেল হাসপাতালে আসেন মুস্তাকিম গাজী। তিনি বলেন, 'আউটডোরে গেলে আমাকে বলা হয় ডাক্তার নেই। পরে কয়েকটি ক্লিনিকে যাই। সেখানে দেখি ডাক্তার নেই। অবশেষে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। আবার আসতে হবে। ছেলের চিকিৎসা জরুরি ছিল।'

 ডা. বাহারুল আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, এখন পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাই আমাদের নির্ধারিত কর্মসূচি পালন করে যাবো।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা জেলা পুলিশে কর্মরত এএসআই নাঈম খুলনা মহানগরীর শেখপাড়ায় অবস্থিত হক নার্সিং হোমে অপারেশন চলাকালীন শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. শেখ নিশাত আব্দুল্লাহকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।

তিনি এখন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন আছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Sustaining dev, curbing inequality major challenges

Sustaining the development that has taken place in Bangladesh in the past 14 years and curbing inequality are key major challenges facing the economy owing to the fallout of the coronavirus pandemic and the Russia-Ukraine war, said Planning Minister MA Mannan.

Now