প্রথম আলো কার্যালয়ে শামসুজ্জামান

কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস। ছবি: সংগৃহীত

জামিনে কারামুক্ত হয়ে প্রথম আলো কার্যালয়ে গেছেন সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস। আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে যান তিনি। এ সময় তার সহকর্মীরা ফুল দিয়ে তাকে বরণ করে নেন।

এর আগে সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে কেরানীগঞ্জের কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার শামসুজ্জামান শামস। সেখান থেকে তিনি তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল প্রথম আলো কার্যালয়ে আসেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর রমনা থানায় করা মামলায় আজ দুপুরে জামিন পান শামসুজ্জামান শামস। ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর জামিন আদেশ মঞ্জুর করেন।

পরে তার মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিকেল ৫টার দিকে জামিন আদেশ কারাগারে পৌঁছায়। কারাগারের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সন্ধ্যায় তিনি কারা ফটক থেকে বেরিয়ে আসেন।

পুলিশ মামলার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগ পর্যন্ত শামস জামিনে থাকবেন।

আইনজীবী আবদুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক গত বুধবার মধ্যরাতে রাজধানীর রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন। এতে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকেও আসামি করা হয়।

মামলাটি দায়েরের প্রায় ২০ ঘণ্টা আগে সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে তার সাভারের বাসা থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিচয় দিয়ে তুলে আনা হয়। বৃহস্পতিবার এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। একই মমলায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, একজন ফটোসাংবাদিক ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়। মতিউর রহমান গতকাল রোববার হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ঢাকার সিএমএম আদালত শামসুজ্জামানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করলে, প্রথমে তাকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়, পরদিন নেওয়া হয় কাশিমপুর কারাগারে। এরপর শনিবার তাকে আবারও কেরানীগঞ্জ কারাগারে আনা হয়।

শামসের বিরুদ্ধে ২৮ মার্চ রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম মামলা হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া এই মামলার বাদী। 

Comments

The Daily Star  | English
Barishal University protest

As a nation, we are not focused on education

We have had so many reform commissions, but none on education, reflecting our own sense of priority.

11h ago