বিজু-সাংগ্রাই-বিহু-বৈসুক-বিষু-সাংক্রান উপলক্ষে ৫ দিনব্যাপী মেলা শুরু

ছবি: লালটানলিয়ান পাংখোয়া

পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু, বিহু, সাংক্রানকে সামনে রেখে আজ সোমবার থেকে রাঙ্গামাটিতে ৫ দিনব্যাপী সংস্কৃতি মেলা শুরু হয়েছে।

আগামী ১৩ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া ৩ দিনব্যাপী এসব উৎসবকে ঘিরে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাড়ায়-মহল্লায় উৎসবের আমেজ বইছে।

রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের ১৪টি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসব হচ্ছে বিজু-সাংগ্রাইং-বৈসুক-বিষু-বিহু-সাংক্রান। উৎসবের প্রথম দিনকে বলা হয় ফুল বিজু। উৎসবের দ্বিতীয় দিন মূল বিজু এবং তৃতীয় দিন হচ্ছে গজ্যাপজ্যা বিজু।

উৎসবকে সামনে রেখে সংস্কৃতি মেলা উপলক্ষে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে আজ রাঙ্গামাটি কলেজ এলাকা থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়।

শোভাযাত্রাটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। পরে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করা হয়।

এরপর চাকমা, মারমা, পাংখোয়া, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরাসহ অন্যান্য জনগোষ্ঠীর ছেলে-মেয়েরা ঐতিহ্যবাহী পোশাকে নৃত্য পরিবেশন করে। তারপর শুরু হয়  আলোচনা সভা। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি রিজিয়নের কমান্ডার মো. ইমতাজ উদ্দীন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, বিজিবির রাঙ্গামাটির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল গাজী শহীদুল্লাহ, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য হাজী মুছা মাতব্বর। স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা পরিষদ সদস্য ও মেলা কমিটির আহ্বায়ক রেমলিয়ানা পাংখোয়া।

সন্ধ্যায় পরিবেশিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ ছাড়া উদ্বোধনী দিনে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ৫ দিনের সংস্কৃতি মেলায় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর নানা খাবার, ঐতিহ্যবাহী বস্ত্র ও হস্ত শিল্প সামগ্রী ৮০টি স্টলে প্রদর্শিত হচ্ছে। মেলায় প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার বলেন, 'পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবিকে বিজু-সাংগ্রাই-বৈসুক-বিষু-বিহু নামে পালন করা হয়। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির সংমিশ্রণে এই উৎসব এক বৈচিত্র্যময় রূপ ধারণ করেছে। এটা মূলত পুরনো বছরকে বিদায় দেওয়া আর নতুন বছরকে বরণ করার জন্য পাহাড়ের নৃ-গোষ্ঠীদের উৎসব। এই উৎসব বয়ে আনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। থাকে না কোনো হিংসা-বিদ্বেষ।'

Comments

The Daily Star  | English

JnU students, teachers call off protest after assurances

All the activities of the university will resume from tomorrow

4h ago