প্রথমে ভিআইপিদের আইন মানতে হবে: ওবায়দুল কাদের

সড়কে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বনানীর বিআরটিএ প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের। ছবি: বাসস

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা অনেকেই আইন মানি না। ঈদের সময় আমাদের অনেক ভিআইপি রাস্তার রং সাইডে চলাচল করে। একটু জটলা দেখলেই রং সাইডে চলে যায়। এখন ভিআইপি মানুষটা যদি আইন না মানেন- তবে আর সাধারণ মানুষের দোষ কী? প্রথমে ভিআইপিদের আইন মানতে হবে।

ওবায়দুল কাদের আজ রোববার দুপুরে বনানীর বিআরটিএ প্রধান কার্যালয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সড়ক-মহাসড়কে যাত্রীদের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে আয়োজিত এক সভায় এ আহবান জানান।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহজাহান খান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব এনায়েত উল্লাহ ও যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী সভায় উপস্থিত ছিলেন।

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'মানুষ যাতে ভালোভাবে বাড়িতে পৌঁছাতে পারে, তাই যার যে দায়িত্ব তিনি সেভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। আপনাদের কাছে এটা আমার অনুরোধ।'

সেতুমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বড় ঘাটতি আমাদের শৃঙ্খলার। সড়কে সেটা কার্যকর হয়নি। পরিবহনেও হয়নি। আরও অনেক জায়গায় ছয় লেন বা আট লেন করার পরিকল্পনা আছে। তবে ডিসিপ্লিন কীভাবে কার্যকর করতে পারা যাবে- সেটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ডিসিপ্লিন থাকলে যানজট ও দুর্ঘটনা কমবে। এখন গতানুগতিক একটা মিটিং করে ও বক্তব্য দিয়ে যদি মনে হয় দায়িত্ব শেষ হয়ে গেছে... তাহলে শৃঙ্খলা ফেরানো যাবে না।

নবীনগর ও চন্দ্রার যানজটের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, সেখানে রাত পার হয়ে ভোর হয়ে যায়। সড়কে আনফিট গাড়ি থাকে। চালক অতিরিক্ত গাড়ি চালিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। এভাবেই সময় নষ্ট হয়।

ঈদের আগে পাঁচদিন ও পরে সাতদিন ২৪ ঘণ্টা ফিলিং স্টেশন খোলা থাকবে বলেও জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

Comments

The Daily Star  | English
Government notification banning Awami League

Govt issues gazette notification banning AL activities

A Public Security Division joint secretary confirmed the matter

1h ago