বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওএসডি

বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ছবি: মোস্তফা সবুজ/স্টার

বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর অভিভাবককে বিচারকের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার অভিযোগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে।

ঢাকায়মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অন স্পেশাল ডিউটি-ওএসডি) হিসেবে তাকে বদলি করা হয়েছে।

আজ রোববার এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-১) দূর্গা রানী সিকদারের সই করা একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

সহকারী পরিচালক দূর্গা রানী সিকদার দ্য ডেইলি স্টারকে বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানতে চাইলে বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, 'বিষয়টি সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি এখনো আমার হাতে আসেনি। তবে তদন্ত রিপোর্ট প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই ঘটনায় যদি আরও কেউ দোষী সাব্যস্ত হয় তবে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

গত ২০ মার্চ অষ্টম শ্রেণির ক্লাস রুম রুটিন মাফিক ঝাড়ু দেওয়ার কথা ছিল অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনের মেয়ের। সহপাঠীদের অভিযোগ, ওই শিক্ষার্থী ঝাড়ু দিতে অস্বীকৃতি জানায়, এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং ফেসবুকে বাদানুবাদ হয়।  

ছাত্রীদের অভিযোগ, এর জের ধরে ২১ মার্চ স্কুলে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে একজন অভিভাবককে বিচারকের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়। এই ঘটনা স্কুলে ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রীরা স্কুল থেকে বেরিয়ে প্রতিবাদ করে এবং সংশ্লিষ্টদের বিচার দাবি করে।  

পরে জেলা প্রশাসক এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

তবে সেই বিচারকের দাবি, তার মেয়ে সহপাঠীদের দ্বারা বুলিং ও ৱ্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিল। তিনি কাউকে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেননি বলেও জানান তিনি।

স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ওই ঘটনার সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন বিচারকের পক্ষ নেন এবং প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন।

এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের দ্রুত অপসারণ দাবি করছিল শিক্ষার্থীরা।

গত ২৩ মার্চ জেলা প্রশাসক ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি করেন এবং তাদের ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন। সেদিনই অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়।

রাবেয়া খাতুন ২০০৭ সাল থেকে বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

9h ago