পোড়া বঙ্গবাজারে চৌকি পেতে বেচাকেনা শুরু
ঈদের আগে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে অস্থায়ী চৌকি পেতে রাজধানীর বঙ্গবাজারে বেচাকেনা শুরু করেছেন আগুনে সব হারানো ব্যবসায়ীরা।
আজ বুধবার সকাল থেকেই এ কেনাবেচার কাজ শুরু হয়। পরে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
উদ্বোধন শেষে তাপস জানান, বঙ্গবাজারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ২ কোটি টাকার সহায়তা দেবে ডিএসসিসি।
এর আগে সকালে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা যায়, ৮ দিন আগে পুড়ে যাওয়া পুরো মার্কেটের আবর্জনা পরিষ্কার করে সেখানে ফেলা হয়েছে বালু। বসানো হয়েছে ইট। মার্কেটের দক্ষিণ অংশে তখনো ইট বসানোর কাজ করছেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। রাজস্ব ও সম্পত্তি বিভাগের লোকজন খালি জায়গাগুলোতে চৌকি বসানোর জন্য মাপজোকের কাজ করছেন।
বঙ্গবাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জানান, এখন ৬৮৮ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী চৌকি দিয়ে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ পেয়েছেন। প্রতিটি চৌকি প্রস্থে সাড়ে ৩ ফুট এবং দৈর্ঘ্যে ৫ ফুট।
বঙ্গবাজারে ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামের ২টি শিশুদের পোশাকের দোকান ছিল। আগুন থেকে কিছুই বাঁচাতে পারেননি তিনি। বলেন, 'এখন পাইকারদের কাছ থেকে বাকিতে পণ্য এনে এখানে অস্থায়ীভাবে বসব। ঈদের আগে সাধারণত ভালো ব্যবসা হয়। জানি না এখানে কীভাবে সেটা হবে।'
গত ৪ এপ্রিল ভোরে দেশে কাপড়ের সবচেয়ে বড় পাইকারি মার্কেটের একটি বঙ্গবাজারে আগুন লাগে। এতে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স, গুলিস্তান ইউনিট, মহানগর ইউনিট ও আদর্শ ইউনিট ওই আগুনে পুরোপুরি পুড়ে যায়।
বঙ্গবাজারের উত্তর-পশ্চিম কোণে ৭ তলা এনেক্সকো টাওয়ার, তার পূর্ব পাশে মহানগর কমপ্লেক্স মার্কেটও পোড়ে আগুনে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বঙ্গবাজারের পশ্চিম পাশের সড়কের অপর প্রান্তের ২টি মার্কেটও।
সব মিলিয়ে ভয়াবহ এই আগুনে ৩ হাজার ৮৪৫ দোকান পুড়ে সেখানে ৩০৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় ডিএসসিসির তদন্ত কমিটি।
Comments