ভেসে আসা ট্রলারটিতে ১০ জনেরই লাশ ছিল হাত-পা বাঁধা

উপকূলে আনা ট্রলার থেকে লাশ উদ্ধার করছে ফায়ার সার্ভিস। গত রোববার দুপুরে কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক সমুদ্র উপকূলে। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজার জেলা শহরের উত্তরের শেষপ্রান্ত নাজিরারটেক এলাকার সমুদ্র উপকূলে ভেসে আসা ছোট একটি ট্রলার থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। উদ্ধার করা সকলের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছিল।

আজ রোববার দুপুর থেকে ট্রলারটিতে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। এরপর ট্রলারটির বরফ মজুত রাখার জায়গা থেকে একে একে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

ঘটনাস্থল থেকে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাকারিয়া জানিয়েছেন, কক্সবাজারের স্থানীয় কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলারের মাঝিমাল্লারা বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়া দ্বীপের পশ্চিমে গভীর বঙ্গোপসাগরে ছোট আকৃতির মাছ ধরার ট্রলারটিকে ভাসতে দেখে তা নাজিরারটেক এলাকার কূলে নিয়ে আসে। ট্রলারের হিমঘরের ভেতরে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় মাঝিমাল্লারা। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ট্রলারের ভেতরে থাকা মরদেহগুলো পচে গেছে। ধারনা করা হচ্ছে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ দিন আগে ট্রলারটি ডাকাত দলের হাতে আক্রান্ত হয়। সব মরদেহ ট্রলারের কোল্ড স্টোরেজের (হিমঘর) ভেতরে ছিল। কারও পরিচয় এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মরদেহগুলোর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নাজিরারটেক এলাকার ক্ষুদ্র দোকানদার মোহাম্মদ আমির হামজা জানান, কোনো মাঝিমাল্লা ছাড়া সাগর তীরে ট্রলার ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন ভেতরে গিয়ে হিমঘরে মরদেহ দেখতে পান। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। এরপর পুলিশ ও দমকল বাহিনীর লোকজন মরদেহগুলো বের করে আনেন। প্রচুর লোক এখানে ভিড় করেছেন। বিকেল ৪টার দিকে পিকআপ ভ্যানে করে মরদেহগুলো নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Salehuddin urges all to work together to overcome challenges of economy

'We are in the midst of all sorts of challenges,' says the finance adviser

2h ago