কুরমা বনে আগুনের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন

মৌলভীবাজারের রাজকান্দি বন রেঞ্জের কুরমা বন বিটের সুনারায় এলাকায় বাঁশবাগানে আগুন লাগার ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে সিলেট বনবিভাগ। মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ ‍উপজেলার রাজকান্দি বন রেঞ্জের কুরমা বন বিট সিলেট বন বিভাগের আওতাধীন।
মৌলভীবাজার, কুরমা বন, বন বিভাগ, সিলেট,
আগুনে বাঁশমহাল পুড়ে গেছে। ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের রাজকান্দি বন রেঞ্জের কুরমা বন বিটের সুনারায় এলাকায় বাঁশবাগানে আগুন লাগার ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে সিলেট বন বিভাগ। মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ ‍উপজেলার রাজকান্দি বন রেঞ্জের কুরমা বন বিট সিলেট বন বিভাগের আওতাধীন।

সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. তৌফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, 'রেঞ্জ অফিসারকে প্রধান করে একটি কমিটি করেছে সিলেট বন বিভাগ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কোনো পর্যটক সিগারেট খেয়ে শুকনো পাতার মধ্যে ফেলে দিলে সেখান থেকে আগুন লাগতে পারে। তবে, আগুন লাগার সঠিক কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।'

মৌলভীবাজারের সহকারী বন সংরক্ষক মারুফ হোসেন বলেন, 'আমরা কমলগঞ্জ থানায় জিডি করেছি। সেখানে উল্লেখ করেছি, আগুনে প্রায় ২.৩৪ একর বাঁশমহাল পুড়ে গেছে। সোমবার বিকেলে হামহাম জলপ্রপাতে যাওয়ার সড়কের বাঁশবাগানে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। পরে দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে বেশ কিছু বাঁশ পুড়ে গেছে।'

রাজকান্দি বন রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, 'কীভাবে বনে আগুন লেগেছে তা এখনো জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।'

কুরমা বন বিট কর্মকর্তা বিপ্লব হোসেন বলেন, 'বনে আগুন লাগার খবর পেয়ে বনকর্মীদের নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুন নেভানো হয়। আগুনে প্রায় দুই একর জায়গা পুড়ে গেলেও বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি।'

বনের গাছ পাচারের আলামত নষ্ট করতেই আগুন লাগানো হয়েছে কি না― এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'ঈদের ২ দিন আগে এখানে যোগদান করেছি। এখনো পুরো বন চেনা হয়নি। এমনটা হলে তদন্ত করে দেখা হবে।'

Comments