২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে রোববার রাত থেকে ইলিশ ধরা শুরু

ইলিশ রক্ষায় সরকারের মার্চ-এপ্রিল ২ মাসব্যাপী অভিযান শেষ হচ্ছে আগামীকাল রোববার। সেদিন রাত ১২টার পর থেকে চাঁদপুরের নিবন্ধিত প্রায় ৪৫ হাজার জেলে ইলিশ ধরতে নদীতে নামবেন। এজন্য তারা জাল-নৌকা মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
জাল-নৌকা মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। ছবি: স্টার

ইলিশ রক্ষায় সরকারের মার্চ-এপ্রিল ২ মাসব্যাপী অভিযান শেষ হচ্ছে আগামীকাল রোববার। সেদিন রাত ১২টার পর থেকে চাঁদপুরের নিবন্ধিত প্রায় ৪৫ হাজার জেলে ইলিশ ধরতে নদীতে নামবেন। এজন্য তারা জাল-নৌকা মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

আজ শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার সাখুয়া বহরিয়া এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

ওই এলাকার একাধিক জেলে জানান, তারা মার্চ-এপ্রিল ২ মাস সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে চলেছেন। এসময় তারা নদীতে মাছ ধরতে নামেননি। তারা সরকারের দেওয়া চাল পেয়েছেন। 

অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার সরকারের অভিযান অনেকটাই সফল বলে দাবি করেন তারা।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা এ বছর অনেকটাই সফল হয়েছি। জেলা ও উপজেলা টাক্সফোর্স দল এবার ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে। গত ২ মাসে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ৭৭৪টি অভিযান পরিচালনা করে ৩৭১ জন জেলেকে আটক করে জেলে দেওয়া হয়। জব্দ করা হয় ৩৯ হাজার ১২৪ কেজি জাটকা। এ ছাড়া, বিপুল পরিমাণ জাল জব্দ করা হয়।'

চাঁদপুর নৌ-অঞ্চলের নৌ-পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ডেইলি স্টারকে জানান, তারা চাঁদপুর নৌ-অঞ্চলে ২ মাসের পৃথক অভিযানে ৯৯ জনকে আটক করেন। এসময় ২৪৬টি নৌকা, ১৯ হাজার ১৮ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া, ২০ কোটি ৯৯ লাখ ৫৭ হাজার ৭০৪ মিটার জাল জব্দ করা হয়। জরিমানা করা হয় ৯ লাখ ৫৬ হাজার ১০০ টাকা।'

চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইলিশ গবেষক মো. আবুল বাশার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চাঁদপুরের ইলিশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে পৃথক পৃথক নদীতে একাধিকবার জাটকার ওপর গবেষণা পরিচালনা করা হয়। এতে অন্যান্য বছরের তুলনায় নদীতে এবার অনেক জাটকা দেখা গেছে। এসব জাটকা শেষ পর্যন্ত রক্ষা পেলে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ইলিশ উৎপাদন কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের চেয়েও বাড়বে বলে আশা করছি।'

Comments