গাজীপুর সিটি নির্বাচন

জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা খাতুনের গাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ

স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী জায়েদা খাতুনের নির্বাচনী প্রচারণার গাড়িতে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী জায়েদা খাতুনের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। 

নৌকা প্রতীকের মেয়রপ্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা এ হামলা করেছে বলে জায়েদা খাতুনের নির্বাচনী প্রচারণার প্রধান সমন্বয়ক ছেলে জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে গাজীপুর সিটির ৪৪ নম্বর ওয়ার্ড গোপালপুর এলাকায় এ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রধান সমন্বয়ক জাহাঙ্গীর আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গোপালপুরে প্রচারণার সময় মায়ের সঙ্গে আমিও ছিলাম। মায়ের ওপর আজমত উল্লার ক্যাডাররা হামলা করেছে। সবার নির্বাচনের অধিকার রয়েছে। আমার মা একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তার প্রতি এত ক্ষোভ কেন?'

'তারা আমার মা ও আমার ওপর ইট মেরেছে,' বলেন তিনি।

নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়া সব কর্মী-সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

নৌকা প্রতীকের মেয়রপ্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা এ হামলা করেছে বলে জাহাঙ্গীর আলমের অভিযোগ। ছবি: সংগৃহীত

অভিযোগের বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হামলা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে হামলার ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

নিয়ম অনুযায়ী প্রার্থীর গণসংযোগের ২৪ ঘণ্টা আগে সংশ্লিষ্ট থানায় জানানোর কথা বলে উল্লেখ করেন ওসি। টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থীর প্রচারণার বিষয়ে পুলিশকে জানানো হয়নি বলে দাবি তার।

জানতে চাইলে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনা হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ বা মামলা করলে ব্যবস্থা নেবে। তারা ব্যবস্থা না নিলে, আমাদের জানালে আমরা ব্যবস্থা নেব।'

Comments

The Daily Star  | English

NBR officials call off shutdown after govt warning

Officials of the National Board of Revenue have withdrawn their shutdown, following a stern government warning and mounting pressure from the country’s top business leaders.

59m ago