প্রত্যাবাসন বন্ধের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ১৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানববন্ধন-সমাবেশ

একটি মহল প্রত্যাবাসন বন্ধের ষড়যন্ত্র করছে। রোহিঙ্গারা নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরতে মরিয়া। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদান করে দ্রুত প্রত্যাবাসন করতে হবে।
প্রত্যাবাসন বন্ধের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত সমাবেশ। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের অন্তত ১৩টি ক্যাম্পে প্রত্যাবাসন বন্ধের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এবং দ্রুত প্রত্যাবাসনের দাবিতে একযোগে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে রোহিঙ্গারা।

গতকাল বৃহস্পতিবার এই মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নেতারা বলেন, মিয়ানমারে যখন নির্যাতন-নিপীড়ন, হত্যা ও ধর্ষণ করা হচ্ছিল, তখন প্রাণভয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছি। বাংলাদেশ সরকার মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে। এ জন্য রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের কাছে কৃতজ্ঞ। এখানে ৬ বছরের ক্যাম্প জীবনটা বন্দি জীবন। আমরা দ্রুত মিয়ানমারে নিজ বসত ভিটায় ফিরতে চাই।

তারা আরও বলেন, একটি মহল প্রত্যাবাসন বন্ধের ষড়যন্ত্র করছে। রোহিঙ্গারা নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরতে মরিয়া। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদান করে দ্রুত প্রত্যাবাসন করতে হবে।

জাতিসংঘের দ্বৈতনীতির নিন্দা জানিয়ে সমাবেশে রোহিঙ্গা নেতারা আরও বলেন, রেশন কমিয়ে দেওয়া এবং নিজ দেশে ফিরতে ইচ্ছুকদের রেশন বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা রহস্যজনক। এমন তৎপরতা থেকে বিরত থেকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের কাজ করার জন্য জাতিসংঘের আন্তরিক সহযোগিতা দরকার।

রোহিঙ্গাদের সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচির বিষয়ে ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ১৬- এপিবিএনের উপ-অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, রোহিঙ্গারা তাদের প্রত্যাবাসনের দাবিতে ক্যাম্পে ক্যাম্পে কর্মসূচি পালন করেছে শান্তিপূর্ণভাবে। তাদের কর্মসূচি পালনের জন্য এক ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়। রোহিঙ্গারা নির্ধারিত সময় সকাল ১০টায় কর্মসূচি শুরু করে ১১টায় শেষ করেছে।

Comments