ডিবির বিরুদ্ধে আসামিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, আসকের উদ্বেগ

আসক

গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে হত্যা মামলার সন্দেহভাজন এক আসামির মৃত্যুতে উদ্বেগ জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

আজ এক বিবৃতিতে মানবাধিকার সংস্থাটি বলেছে, প্রায়শই আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সদস্যদের অপেশাদারত্ব এবং আইন বহির্ভূত আচরণ নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন ও অভিযোগ উঠছে। হেফাজতে মৃত্যুবরণকারীর পরিবার যে অভিযোগ উত্থাপন করেছে, তা সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি রাখে।

গণমাধ্যমের খবরের বরাতে আসক বলেছে, 'রাজধানীর তুরাগ থানার একটি হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তারের পর ডিবি হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার আলাল উদ্দিন মারা যান। স্বজনের অভিযোগ, তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছে।'

রাজধানীর বাউনিয়ায় ৫ জুন রাতে এক নারী খুন হন। এ ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন আসামি তার স্বামী। পরদিন সন্ধ্যায় ওই বাড়ির দারোয়ান আলাল উদ্দিনকে (৫০) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসে ডিবি পুলিশ। ১০ জুন আলালকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ১৬ জুন সন্ধ্যায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।

স্বজনদের অভিযোগের বরাতে আসক আরও জানায়, স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, গত ৬ জুন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তুলে নেওয়ার পর থেকে তারা আলালের খোঁজ পাচ্ছিলেন না। তবে ডিবির ভাষ্য, ১০ জুন আলালকে গ্রেপ্তার করা হয়। আলালকে কবে ধরে আনা হয়েছে, কত দিন হেফাজতে ছিলেন, কেন তাকে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করাতে হলো, কোন পরিস্থিতির কারণে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিতে হলো—এসব বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে না।

বিবৃতিতে আসক বলেছে, সংবিধান অনুযায়ী, প্রতিটি মানুষের আইনের আশ্রয়লাভের ও বিচারলাভের অধিকার রয়েছে। অন্যদিকে, উচ্চ আদালতের গ্রেপ্তার ও রিমান্ডসংক্রান্ত মাইলফলক রায়ে গ্রেপ্তারের ১২ ঘণ্টার মধ্যে পরিবার ও স্বজনদের জানানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আইন শৃঙ্খলা সংস্থাগুলোর অপেশাদারত্ব এবং আইন বহির্ভূত আচরণ নিয়ে প্রশ্ন এবং অভিযোগ থাকায় আলাল উদ্দিনের পরিবারের অভিযোগ আমলে নিয়ে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছে আসক।

Comments

The Daily Star  | English

Govt move to hike port charges sparks concern

This will likely have a detrimental effect on the country's exports, alongside prices of imported products in domestic markets.

10h ago