পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক পরিচালক ড. আব্দুল হাকিম মারা গেছেন

দেশের প্রথম ন্যানোটেকনোলজি ইনস্টিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন ড. হাকিম, যা কয়েক সপ্তাহ আগে একনেকে অনুমোদিত হয়েছে।
ড. এ কে এম আব্দুল হাকিম। ছবি: সংগৃহীত

দেশের ন্যানোটেকনোলজি খাতের পথপ্রদর্শক বিজ্ঞানী, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক পরিচালক, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ন্যানো ম্যাটেরিয়ালস অ্যান্ড সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক ভিজিটিং প্রফেসর ড. এ কে এম আব্দুল হাকিম মারা গেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ড. হাকিম ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রের নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

দেশের প্রথম ন্যানোটেকনোলজি ইনস্টিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন ড. হাকিম, যা কয়েক সপ্তাহ আগে একনেকে অনুমোদিত হয়েছে।

মৃত্যুকালে ড. হাকিম স্ত্রী, ২ সন্তান ও ৩ নাতি-নাতনিসহ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা তার গবেষণার অসংখ্য গুণগ্রাহী, সহকর্মী ও শিক্ষার্থী রেখে গেছেন।

তার ছেলে মাহফুজ সাদিক বিকাশের চিফ কমিউনিকেশন্স অফিসার হিসেবে এবং মেয়ে অনন্যা নন্দিনী সুইডেনে লিনডে নর্থ ইউরোপের কোয়ালিটি স্পেশালিষ্ট হিসেবে কর্মরত আছেন।

আজ জোহরের নামাজের পর বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে তার প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। ধানমন্ডি লেক সংলগ্ন তাকওয়া মসজিদে আসরের নামাজের পর তার শেষ জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। তাকে দাফন করা হয়েছে রায়ের বাজার কবরস্থানে।

বিশ্বের নানা প্রান্তে গবেষণা করার সুযোগ পেয়েও বারবার দেশে ফিরে বুয়েট ও পরমাণু শক্তি কমিশনে গবেষণার সঙ্গেই প্রায় ৪ দশক ধরে জড়িত ছিলেন ড. হাকিম।

তিনি ন্যানো ম্যাটেরিয়াল বিষয়ে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী, যার ২০০টিরও বেশি গবেষণা নিবন্ধ বিশ্বের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় পিয়ার রিভিউড জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তার হাত ধরেই বাংলাদেশে ন্যানো ম্যাটেরিয়াল গবেষণায় নতুন প্রজন্মের বিজ্ঞানীদের হাতেখড়ি হয়েছে।

বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ ফিজিক্যাল সোসাইটির সহ-সভাপতি; ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স (আই আই এস সি), ব্যাঙ্গালোরের জহরলাল নেহরু সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড সায়েন্টিফিক রিসার্চ এবং ভিয়েতনামের হ্যানয়ে অবস্থিত ভিয়েতনাম একাডেমি অব সায়েন্স এবং সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স প্রোগ্রামের (আই এস পি) ভিজিটিং ফেলো হিসেবে দায়িত্ব পালনসহ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago