‘বিচার বিভাগ ফেল করলে গণতন্ত্র ফেল করবে, গণতন্ত্র ফেল করলে রাষ্ট্র ফেল করবে’

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, 'আমি মনে করি, যে যতটুকু অপরাধ করবে তার ততটুকু শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সেটা যদি করতে না পারি তাহলে আইনের শাসন, গণতন্ত্র কিছুই প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।'

আজ বুধবার দুপুর ৩টার দিকে মুন্সিগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে বিচারপ্রার্থীদের জন্য 'ন্যায়কুঞ্জ'র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, 'আসুন, আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করি যেন দেশে আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। আর এর ভিত্তি হলো বিচার বিভাগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, বিচার বিভাগকে শক্তিশালী করা। বিচার বিভাগ ফেল করলে গণতন্ত্র ফেল করবে, গণতন্ত্র ফেল করলে রাষ্ট্র ফেল করবে। অতএব, এটা আমরা হতে দিতে পারি না। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো যেন মান বজায় রেখে মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়ে। আমার মনে হয় ইনশাল্লাহ আমরা সফল হবো।'

তিনি বলেন, 'আমাদের ওয়েবসাইটে যে অ্যাপস আছে, তাতে ক্লিক করলে বিচারপ্রার্থীরা বাড়িতে বসেই মামলার রায় জানতে পারবেন। আর যেসব রায় ইংরেজিতে হয়, সেগুলোও গুগল ট্রান্সলেটরের মাধ্যমে এক ক্লিকে ইংরেজি থেকে বাংলা হয়ে যাচ্ছে। জজরা কি রায় লিখলেন, এটা সবাই বুঝতে পারবেন।'

'আরেকটি অ্যাপস আছে। সেটা দিয়ে সারা দেশে কয়টি মামলা কখন নিষ্পত্তি হলো সেটা প্রধান বিচারপতির (মোবাইলের মাধ্যমে) হাতের মুঠোয় রয়েছে। আমার মনে হয়, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা যদি প্রতিটি ক্ষেত্রে থাকে, তাহলে ইনশাল্লাহ আমরা এগিয়ে যাবো,' যোগ করেন তিনি।

২০২২ সালে মামলার নিষ্পত্তি ৩০ ভাগ বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'এটা যদি এভাবে চলে, যদি ফাইলিং ঠিকমতো করা যায়, তাহলে ৫-৭ বছরে মামলার জট একটা সহনশীল পর্যায়ে আসবে।'

বিচার বিভাগকে এগিয়ে নিতে বিচারকদের পাশাপাশি আইনজীবীদেরও দায়িত্ব রয়েছে উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি আমরা বিচার বিভাগকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সেই প্রচেষ্টা আমাদের সকলকে করতে হবে। আমি সকলকে বলবো, আপনারা একে অপরকে সহযোগিতা করবেন যাতে করে বিচারপ্রার্থীকে আদালতের সীমানায় এসে হয়রানির শিকার হতে না হয়। যদি কোনো মামলা বছরের পর বছর চলতেই থাকে, তাহলে বিচারপ্রার্থীরা ভাববেন এই দেশে বিচার-আচার নেই। আমার মনে হয় এটা বিচার বিভাগের জন্য সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।'

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Terrorism Act

Banning party activities: Govt amends anti-terror law

Activities of certain entities, and activities supporting them can now be banned

2h ago