বিভাগীয় শহরে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপনে ঐকমত্য হয়েছে: আলী রীয়াজ

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে হাইকোর্টের বেঞ্চ স্থাপনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। 

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের নবম দিনের সংলাপ শেষে এ কথা জানান তিনি।

আলী রীয়াজ আরও জানেন, রাষ্ট্রপতি ক্ষমার বর্তমান বিধান সংশোধনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছেছে।

নতুন বিধানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির অপরাধীকে ক্ষমা করার সুযোগ থাকবে বলে জানান তিনি। 

বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছেছে উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, 'সংবিধানের ১০০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের জন্য ঐকমত্য হয়েছে। বলা হয়েছে রাজধানীতে সুপ্রিম কোর্টের স্থায়ী আসন থাকবে। তবে রাজধানীর বাইরে প্রতিটি বিভাগে প্রধান বিচারপতির পরামর্শক্রমে এক বা একাধিক বেঞ্চ থাকবে।'

'অর্থাৎ, হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ ঢাকার পাশাপাশি প্রতিটি বিভাগীয় শহরে থাকবে, এ বিষয়ে সকল রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে,' বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'রাষ্ট্রপতি ক্ষমার বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।  গত ১৬ বছর বা তার আগে থেকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিষয়টি ব্যাপকভাবে অপব্যবহার হয়েছে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল অনুধাবন করেছেন সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতি যে ক্ষমার বিষয়টি আছে তা সংশোধন প্রয়োজন।'

'সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও সব নির্বাহী ক্ষমতার মাধ্যমে ক্ষমার বিষয় সংবিধানে যুক্ত করার সুপারিশে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য হয়েছে,' বলেন তিনি।

আগামী সপ্তাহে নতুন আরও অনেক বিষয়ে আলোচনার অগ্রগতি হবে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, 'জরুরি অবস্থা নিয়ে আলোচনার কথা ছিলো। কিন্তু বিষয়টি এনসিসির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এখন যেহেতু এনসিসি আলোচনা টেবিলে নেই, তাই আমরা নতুন করে জরুরি অবস্থার বিষয়টি নতুন করে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে হাজির করব।'

'আশা করি আগামী সপ্তাহের মধ্য অন্যান্য বিষয়ে আমরা অগ্রগতি পৌঁছাতে পারব,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Money laundering: NBR traces Tk 40,000cr in assets abroad

The National Board of Revenue has found assets worth nearly Tk 40,000 crore in five countries which it believes were bought with money laundered from Bangladesh, said the Chief Adviser’s Office yesterday.

3h ago