বগুড়ার দই, চাঁপাইয়ের ল্যাংড়া আম পেল জিআই সনদ

বগুড়ার দই
বগুড়ার দই। ছবি: মোস্তফা সবুজ/স্টার

শেরপুরের তুলসীমালা ধান, বগুড়ার দই এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আমকে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ দিয়েছে পেটেন্ট, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্ক অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. জিল্লুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত জুন মাসের শুরুতে শেরপুরের তুলসীমালা ধান এবং জুনের ২৫ তারিখে বগুড়ার দই এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আমকে জিআই সনদ দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার বিকেলে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, 'গত জুন মাসে মোট ৪টি পণ্যকে জিআই সনদ দেওয়া হয়েছে। এ মাসে আরও একটি পণ্যকে জিআই সনদ দেওয়া হবে।'

তিনি আরও বলেন, আগামীতে নাটোরের কাঁচাগোল্লা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, কুমিল্লার রসমালাই, মৌলভীবাজারের আগর আতর ও আগর উড চিপস, রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আম ও জিআই সনদ পাবে, যদি এগুলোর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না আসে।

মো. জিল্লুর রহমান আরও জানান, শেরপুরের তুলসীমালা ধানের জিআই সনদ পেতে ২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল আবেদন করেছিলেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আমের জিআই সনদের জন্য ২০১৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি আবেদন করেছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্বের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হামিম রেজা।

আর বগুড়ার দইয়ের জিআই সনদ পেতে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি আবেদন করেছিল বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি।

'আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গত এপ্রিলে এই ৪টি পণ্যের জিআই সনদের জন্য জার্নাল প্রকাশের ব্যবস্থা নেয় অধিদপ্তর,' বলেন জিল্লুর রহমান।

জার্নাল প্রকাশের ২ মাসেও কোনো অভিযোগ না আসায় নির্ধারিত ফি জমা নিয়ে গত আবেদনকারীদের জিআই সনদ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

জিআই সনদের ফলে পণ্যগুলোর ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী বা চাষিরা কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবে, জানতে চাইলে জিল্লুর রহমান বলেন, 'প্রথমত একটি পণ্যের ভৌগোলিক অবস্থানের স্বীকৃতি নিশ্চিত হয়। ব্যবহারের ক্ষেত্রে নানা সুবিধা পাওয়া যায় এবং বিদেশে রপ্তানির সময় অধিক মূল্য পাওয়া যায়।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Rohingya influx: 8 years on, repatriation still elusive

Since the repatriation deal was signed with Myanmar in November 2017, Bangladesh tried but failed to send Rohingyas back.

9h ago