নিখোঁজের ২ দিন পর পুকুর থেকে মামাতো-ফুপাতো ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

তাদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া থেকে ২ ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

তারা হলো—উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব মাইজচরা গ্রামের নুরনবী ফকিরের বাড়ির আজহার উদ্দিনের ছেলে রাসেল (৬) এবং একই বাড়ির নুরনবীর ছেলে অন্তর (৫)। তারা স্থানীয় একটি নূরানী মাদরাসায় পড়তো। সম্পর্কে মামাতো-ফুপাতো ভাই।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের মাইজচরা গ্রামের হেকিম মার্কেট সংলগ্ন ছিদ্দিক উল্যার প্রজেক্টের পুকুর থেকে মরদেহ ২টি উদ্ধার করা হয়।

শিশু রাসেলের বাবা আজহার উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গত শুক্রবার ৭ জুলাই সকাল ১১টার দিকে বাড়ি থেকে রাসেল ও অন্তর খেলতে বের হয়। এরপর বাড়িতে ফিরে না আসায় সম্ভাব্য সব স্থানে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পায়নি। একপর্যায়ে তাদের সন্ধান চেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। নিখোঁজের ২ দিন পর রোববার সকাল ৯টার দিকে স্থানীয়রা মাইজচরা গ্রামের হেকিম মার্কেট সংলগ্ন ছিদ্দিক উল্যার প্রজেক্টের পুকুরে তাদের মরদেহ ভাসতে দেখে।

অন্তরের বাবা নুরনবী জানান, তার ২ সন্তান। এক ছেলে এক মেয়ে। অন্তর ছিল ছোট। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে তার মা পারভীন আক্তার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

সোনাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বলেন, ২ শিশু সাঁতার জানতো না। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন পুকুর দেখে তারা খেলতে গিয়ে অসাবধানতাবশত পানিতে ডুবে মারা গেছে। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ ২ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে। তাদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।

হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাঞ্চন কান্তি দাশ বলেন, ভাসমান অবস্থায় ২ শিশুর মরদেহ স্থানীয় লোকজন দেখতে পায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শিশুর পরিবার মরদেহ ময়না তদন্ত করতে রাজি হচ্ছেন না। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।   

Comments