বাংলাদেশ

আজ ঢাকায় আসছেন উজরা জেয়া, আলোচনা হতে পারে নির্বাচন-মানবাধিকার নিয়ে

সফরসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ও ইউএসএআইডি এশিয়া ব্যুরোর উপ-সহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কৌর।
উজরা জেয়া। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া আজ সন্ধ্যায় ঢাকায় আসছেন।

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের নতুন মার্কিন ভিসা নীতি ঘোষণার পর এবারই যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি ঢাকায় সফর করবেন।

আজ মঙ্গলবার ৪ দিনের সফরে দিল্লি থেকে ঢাকায় আসছেন উজরা জেয়া। তার সফরসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ও ইউএসএআইডি এশিয়া ব্যুরোর উপ-সহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কৌর।

৪ দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তারা। এছাড়া তারা নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলাপ করবেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের সভাপতি এম হুমায়ুন কবির বলেন, 'আমি মনে করি উজরা জেয়া আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করবেন এবং যে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে তার কোনো সমাধান আছে কি না, এ নিয়ে কথা বলতে পারেন।'

তিনি মত প্রকাশের স্বাধীনতা, রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধনী এবং শ্রম অধিকার নিয়েও আলোচনা করতে পারেন।

সাবেক এই রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, 'অন্যের ওপর নির্ভর না করে আমাদের নিজেদের স্বার্থে, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের জন্য আমাদের সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ী আমাদের নিজেদেরই এসব সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করা উচিত। বাংলাদেশে গণতন্ত্র থাকলে অন্যান্য দেশের সঙ্গেও ভালো চুক্তি হবে, তা না হলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।'

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে তার অধীনে নির্বাচনের দাবিতে অনড়। তবে আওয়ামী লীগ জোর দিয়ে জানিয়েছে যে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতোই নির্বাচন হবে।

ওয়াশিংটন ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে সমালোচনা করেছিল এবং পরপর ২ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের আয়োজিত গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায়নি।

বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দিলে মার্কিন ভিসা দেওয়া হবে না—এমন শর্ত জুড়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মে মাসে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতির ঘোষণা দেন।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ২ দিনের সফরে ঢাকায় এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার ডেরেক শোলে।

Comments