বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা উজরা জেয়ার

বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা ব্যক্ত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া।

তার মতে, এর মাধ্যমেই ভবিষ্যতে দেশের জনগণের জন্য গণতন্ত্র আরও সমৃদ্ধ হবে।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক শেষে টুইটে তিনি এ কথা বলেন।

উজরা জেয়া বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের অংশীদারত্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি তাদের উদারতা প্রশংসনীয় এবং আশা করছি, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে দেশের জনগণের জন্য গণতন্ত্র আরও সমৃদ্ধ হবে।

আজ সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান উজরা।

সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় বৈঠক করেছেন উজরা।

এরপর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিতে দুপুর ১টা ২০ মিনিটে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় গিয়েছেন উজরা। সেখানে তিনি পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করছেন।

উজরা জেয়ার সঙ্গে আছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু।

আজ বিকেলে তিনি মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের আমন্ত্রণে নৈশভোজে অংশ নেওয়ার কথা আছে উজরার।

গত মঙ্গলবার ৪ দিনের সফরে দিল্লি থেকে ঢাকায় আসেন উজরা জেয়া। তার সফরসঙ্গীদের মধ্যে আরও আছেন ইউএসএআইডি এশিয়া ব্যুরোর উপ-সহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কৌর।

গতকাল তারা কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।

আগামীকাল এই প্রতিনিধি দল ঢাকা ছাড়বে।

দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শ্রমিকের অধিকার, বাক-স্বাধীনতা, মানবিক সহায়তাসহ অন্যান্য বিষয়ে সফররত মার্কিন কর্মকর্তাদের আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

5h ago