সাভারে ২ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

নাজমুস সাকিব ও ইমদাদুল হক

সাভার থেকে প্রকাশিত দৈনিক ফুলকি পত্রিকার সম্পাদকসহ ২ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।

সাভার মডেল থানায় দায়ের হওয়া এই মামলায় ফুলকির সম্পাদক নাজমুস সাকিব ও সাংবাদিক ইমদাদুল হককে আসামি করা হয়েছে।

আজ রোববার বিকেলে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত ২৭ জুলাই ওই পত্রিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করে 'অবশেষে পদত্যাগ করছেন এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রধানমন্ত্রী' শিরোনামে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করা হয়। গণমাধ্যমের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ এবং রাজনৈতিক উসকানি দেওয়ার উদ্দেশ্যে সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের শ্যামপুরের বাসিন্দা শাহীনুর ইসলাম ওরফে ধ্রুব নয়ন।

জানা যায়, গত ২৭ জুলাই ফুলকি পত্রিকায় কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে 'অবশেষে পদত্যাগ করছেন এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদি প্রধানমন্ত্রী' শিরোনামের খবর প্রকাশ করে। এই খবরে প্রাধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছাপা হয়।

পরদিন পত্রিকায় সংশোধনী প্রকাশ করে বলা হয়, ভুল করে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর জায়গায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছাপা হয়েছে। এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান ফুলকির সম্পাদক নাজমুস সাকিব। সংশোধনী প্রকাশের পর সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, দৈনিক ফুলকি পত্রিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। গণমাধ্যমের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ এবং রাজনৈতিক উসকানি দেওয়ার উদ্দেশ্যে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।

মামলার আসামি ইমদাদুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আমার সঙ্গে ফুলকির কোনো সম্পর্ক নেই। আমি বহুদিন ধরে আমাদের নতুন সময় পত্রিকার স্থানীয় সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করছি। হীন উদ্দেশ্যে আমার নামে মামলা করা হয়েছে।

জানতে চাইলে সাভার প্রেসক্লাবের সভাপতি ও ফুলকির সম্পাদক নাজমুস সাকিব দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আমি পবিত্র হজ পালন করে ৪১ দিন পর ২৫ জুলাই দেশে আসি। পর দিন ২৬ জুলাই রাতে পত্রিকার পেছনের পাতায় কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের নিউজটি বসানো হয়। সেখানে ভুলবশত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি যুক্ত করা হয়। ভুল সংশোধন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে পরদিন ২৮ জুলাই সংশোধনী প্রকাশ করা হয়। এর পরও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে এ মামলায় অন্য একটি পত্রিকার সাংবাদিককেও আসামি করা হয়েছে। এভাবে কণ্ঠ চেপে ধরা হলে দেশে সংবাদপত্র প্রকাশ করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে।

তিনি আরও বলেন, এর আগেও ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে একটি কুচক্রি মহল আমার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলা দায়ের করে। মামলার বাদি ছিলেন যুবলীগ নেতা ফরিদ আল রাজী। পরে তদন্ত করে কোনো প্রমাণ না পেয়ে আদালত মামলাটি নিস্পত্তি করে দেন।

Comments

The Daily Star  | English

Elections entirely Bangladesh's internal matter: Shafiqul

'Wounds caused by crimes against humanity perpetrated by AL still fresh,' says CA's press secretary

25m ago