ভারী বৃষ্টিতে ডুবে গেছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক

ভারী বৃষ্টিতে ডুবে গেছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক
চট্টগ্রামের কেরাণীহাট এলাকা। ছবি: সংগৃহীত

টানা বৃষ্টি, জোয়ার ও পাহাড়ি ঢলে সড়ক ডুবে যাওয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও বান্দরবান সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশ কসাইপাড়া এলাকায় পানির নিচে সড়ক তলিয়ে যাওয়াতে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজারের সড়ক যোগায়োগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় সড়কের উভয় পাশে প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় একশত যানবাহন উভয় পাশে আটকা পড়ে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। 

প্রায় ৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সকাল ১১টার দিকে সড়কের এক পাশ দিয়ে কিছু কিছু যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে বলে জানান চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন।

এ ছাড়া সাতকানিয়ার কেরানিহাটে সড়কের ওপর কোমর সমান পানি জমে যাওয়ায় বান্দরবান সড়কে যান চলাচল প্রায় বন্ধ রয়েছে।

সাতকানিয়ার স্থানীয় সংবাদকর্মী শহীদুল ইসলাম বাবর দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ভোর থেকে বান্দরবার সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে এবং বড় যানবাহনগুলো পানি মাড়িয়ে চলাচল করলেও ছোট যানবাহনগুলো চলতে পারছে না। ফলে জরুরি কাজে চলাচলকারীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।

দোহাজারী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ দ্য ডেইলি স্টারকে সড়ক দুটিতে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সড়ক তলিয়ে গেছে। বড় গাড়িগুলো ধীরগতিতে চললে ছোট যান চলাচল করতে পারছে না। পানি কমলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

চিরিঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি খোকন কান্তি রুদ্র বলেন, 'কেরানিহাট ও চন্দনাইশে পানির কারণে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।'

এদিকে বন্যার পানিতে চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া উপজেলার কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে বলে জানা গেছে স্থানীয় সূত্রে।  

উভয় উপজেলার কয়েকশত পুকুর ডুবে শত কোটি টাকার মাছ চলে গেছে বলে জানান স্থানীয় অধিবাসীরা। শত শত বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায় মানুষজন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ডুবে গেছে শতাধিক নলকূপ। ফলে দেখা দিয়েছে তীব্র খাবার পানির তীব্র সংকট।

 

Comments

The Daily Star  | English

Stop destroying nature, plant trees instead of cutting: Yunus

Protecting the environment should be a citizen-led movement, he says

1h ago