সাঈদীর গায়েবানা জানাজার চেষ্টা, বায়তুল মোকাররমে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজার চেষ্টার সময় জামায়াত-শিবিরের একদল সদস্যের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, আজ মঙ্গলবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জোহরের নামাজের পর জামায়াত-শিবিরের একদল সদস্য দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর গায়েবি জানাজার চেষ্টা করে।

ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মসজিদ এলাকায় অনেকে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে যায়। সেসময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।

মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জামায়াত-শিবিরের সদস্যরা পুলিশের ওপর হামলা করে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। সৌভাগ্যবশত, পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে প্রতিরক্ষামূলক গিয়ার ছিল। তাই কোনো পুলিশ কর্মকর্তা আহত হননি।'

'আমরা তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে পেরেছি। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের পরিচয় যাচাইয়ের পর আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের গ্রেপ্তার দেখাতে পারি,' বলেন তিনি।

ছবি: সংগৃহীত

একই সময়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি পালন করছিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থকরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আওয়ামী লীগ নেতারাও গায়েবানা জানাজা করতে চাওয়া লোকজনের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে।

মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বর্তমানে বায়তুল মোকাররমের পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মসজিদের কাছে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মারা যান আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক জানান, তার মরদেহ নিয়ে জামায়াত-শিবির গতকাল তাণ্ডব চালিয়েছে। গতকাল রাতের হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়টি বিবেচনা করে গায়েবানা জানাজার অনুমতি দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

10h ago