পুলিশ কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দেয় না: আইজিপি

রাজনৈতিক বক্তব্যের অভিযোগের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে আইজিপি বলেন, ‘আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এমন কোনো বক্তব্য পাইনি যাকে রাজনৈতিক বলে গণ্য করা যায়। আমি আইন ও বিধি মোতাবেক আমার দায়িত্ব পালন করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে দায়িত্ব ও চ্যালেঞ্জগুলো দেখা দেয় তা মোকাবেলা করা আমার আইনি দায়িত্ব।’
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে হবিগঞ্জ থানার ওসির শয্যাপাশে আইজিপি। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, পুলিশ কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দেয় না।

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন বলে বিএনপির নেতারা অভিযোগ তোলার ব্যাপারে এ কথা বললেন আইজিপি।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হবিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেবকে দেখতে গিয়ে আইজিপি এ মন্তব্য করেন।

গত ১৯ আগস্ট হবিগঞ্জে বিএনপির রোডমার্চের সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন অজয়। সংঘর্ষের সময় একটি ইট অজয়ের চোখে এসে লাগে।

রাজনৈতিক বক্তব্যের অভিযোগের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে আইজিপি বলেন, 'আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এমন কোনো বক্তব্য পাইনি যাকে রাজনৈতিক বলে গণ্য করা যায়। আমি আইন ও বিধি মোতাবেক আমার দায়িত্ব পালন করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে দায়িত্ব ও চ্যালেঞ্জগুলো দেখা দেয় তা মোকাবেলা করা আমার আইনি দায়িত্ব।'

তিনি আরও বলেন, আইনানুগ দায়িত্ব পালন করতে আমি বাধ্য। এই আইনানুগ দায়িত্ব পালনের জন্য আমাদের প্রশিক্ষণ রয়েছে, প্রয়োজনীয় লজিস্টিকস, ইকুইপমেন্ট ও সক্ষমতা রয়েছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য যে দায়িত্ব পালন করা দরকার সেই দায়িত্ব আইনানুগভাবে পেশাদারিত্বের সঙ্গে আমরা সবসময় পালন করে আসছি।

গত ১৯ আগস্ট ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিএমপি) তিনটি পিস্তল ও ৩৭টি গুলি উদ্ধার করে এবং ছাত্রদলের ছয় নেতাকে গ্রেপ্তার করে। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, পুলিশ মেয়াদোত্তীর্ণ ও অকার্যকর অস্ত্রসহ বিএনপি সদস্যদের গ্রেপ্তার করছে।

জবাবে মামুন বলেন, 'অপারেশনের সময় তাদের কাছ থেকে পাওয়া অস্ত্রের ভিত্তিতে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছি। এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।'

এদিকে ছেলের ফেসবুক স্ট্যাটাসের জেরে খুলনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন বিদেশে অবস্থানরত এক প্রবাসীর মা।

গত ২০ আগস্টের ওই ঘটনায় সম্ভাব্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, 'আমি বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাই। নাশকতা করার জন্য খুলনা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীরের বাসায় একটি গোপন বৈঠক হওয়ার গোপন তথ্য আমরা পেয়েছি। পরবর্তীকালে, আমরা ওই স্থান থেকে তিনজনকে আটক করি—দুই পুরুষ ও একজন নারী।'

'পরে, আমরা জানতে পারি গ্রেপ্তার হওয়া নারী সেই প্রবাসীর মা যিনি ফেসবুকে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেছিলেন। অভিযানে তাদের কাছ থেকে ডিজিটাল ডিভাইস, বই ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে,' বলেন মামুন।

 

Comments