‘পেট্রোল পাম্প বন্ধ নেই, ডিপোতে তেল উত্তোলন বন্ধ করায় সরবরাহে ঘাটতি’
বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনের নামে যারা ধর্মঘট ডেকেছে তারা সংগঠনের কেউ নয় জানিয়ে সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল হক দ্রুত এই ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রামের কোনো পেট্রোল পাম্প বন্ধ নেই। তবে তেলের ডিপোগুলোতে তারা তেল উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়ায় তেল সরবরাহে ঘাটতি হয়েছে। যার কারণে কিছু পাম্প তেল দিতে পারছে না।
আজ রোববার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, যারা ধর্মঘট ডেকেছে তাদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক দুজনই সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত। বিভিন্ন সময়ে তারা ২৩ বার এ ধরনের ধর্মঘট ডেকেছে, আবার প্রত্যাহার করেছে। এবার আমাদের দাবিগুলো নিয়ে প্রতিমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট তারিখ দিয়ে বলেছেন ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাবিদাওয়া সব মেনে নেওয়া হবে। আমরা ২০১৬ সাল থেকে আন্দোলন করছি। আরেকটু সময় আমরা সরকারকে দিতে চাই।
তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই তাদের বেশ কিছু দাবি মেনে নিয়েছে। তবে কমিশন সাড়ে ৭ শতাংশ করার দাবিটি নিয়ে তারা আলোচনা করছে। কমিশন বাড়লে সেটা বিপিসি ঘোষিত দাম থেকে কাটা হবে, নাকি দাম বাড়িয়ে আদায় করা হবে, সেগুলো নিয়ে তাদের আরও কাজ করতে হবে।
তিনি বিপিসির সমালোচনা করে বলেন, তাদের সংগঠন ওই দুই নেতাকে বহিষ্কার করলেও বিপিসি তাদের বিভিন্ন সময় আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছে, মিটিং করেছে।
তেলের ডিপো থেকে তেল সরবরাহ স্বাভাবিক করার দায়িত্ব সরকারের জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের গাড়িগুলো তেলের চালান কেটে ডিপো গেটে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু স্থানীয় রাজনৈতিক কিছু লোকজনের সহায়তায় তারা তেল উত্তোলন করতে দিচ্ছে না।
'আমার নিজের পেট্রোল পাম্পও দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা ছিল। কিন্তু তেল শেষ হয়ে যাওয়ায় বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি। অন্য পাম্পগুলোতেও কিছুক্ষণের মধ্যে তেলের মজুত শেষ হয়ে যাবে।'
'সরকার যদি ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে না নেয়, আমরাই সারা দেশে ধর্মঘট ডাকব,' যোগ করেন তিনি।
Comments