চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর সীমান্তে বিএসএফ গুলিতে আরেক বাংলাদেশি নিহত হন।
নিহত রবিউল হক। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। 

বুধবার দিবাগত রাতে দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর সীমান্তের ভারতীয় ভূখণ্ডে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত রবিউল হক (৪০) দামুড়হুদা উপজেলার পীরপুরকুল্লাহ গ্রামের মৃত রহমত উল্লাহর ছেলে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মাদ জাহিদুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দামুড়হুদা উপজেলার পীরপুরকুল্লাহ গ্রামে নিহত রবিউলের বাড়িতে স্বজনদের আহাজারি। ছবি: জহির রায়হান সোহাগ/স্টার

স্থানীয়রা জানান, রবিউল হক বুধবার রাতে অবৈধভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করলে রাঙ্গিয়ারপোতা ক্যাম্প থেকে বিএসএফের সদস্যরা তাকে আটক করে নির্যাতন করে। পরে তাকে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি। 

স্থানীয় কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম ডেইলি স্টারকে জানান, নিহত রবিউল হকের মরদেহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগরের একটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। সেখানে তার মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। 

বিজিবি কর্মকর্তা সাঈদ মোহাম্মাদ জাহিদুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে রবিউলের মরদেহ বাংলাদেশে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।'

এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে বিজিবি রাঙ্গিয়ারপোতা বিএসএফ ক্যাম্পে চিঠি দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর সীমান্তে বিএসএফ গুলিতে আরেক বাংলাদেশি নিহত হন। নিহত মিজানুর রহমানের (৫০) মরদেহ ৭ দিন পর দুই দেশের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ফেরত দেয় বিএসএফ।

Comments