ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এমপি আব্দুস সাত্তার মারা গেছেন

সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তার ভূঁঞা। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁঞা মারা গেছেন।

শনিবার ভোররাত ৩টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

এমপি আব্দুস সাত্তার ভূঁঞার ছেলে মাইনুল হাসান তুষার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত রোগে ভুগছিলেন। এক সপ্তাহ আগে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার ভোররাত ৩ টা ২ মিনিটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৬ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য আব্দুল সাত্তার ভূঁঞা ১৯৩৯ সালের ১৬ জানুয়ারি জেলার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ সরকারের সাবেক আইন, মৎস্য ও ভূমি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। গত ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন।

পদত্যাগের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটি শূন্য হলে তিনি দল ছেড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ফের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ঘোষণা হওয়ার আগে ১৯৭৯ সালে তৎকালীন কুমিল্লা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন আব্দুস সাত্তার ভূঁঞা।

পরবর্তীতে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এরপর ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে তৎকালীন ৪ দলীয় জোটকে আসনটি ছেড়ে দেন এবং সরকার তাকে টেকনোক্রেট মন্ত্রী হিসেবে আইন, মৎস্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন। তবে, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে তিনি একপ্রকার নিষ্ক্রিয় ছিলেন।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পুনরায় ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য হিসেবে একই আসন থেকে জয়লাভ করেন। 

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

9h ago