বিচার বিভাগকে যেন রাজনীতিকরণ না করা হয়: প্রধান বিচারপতি

তিনি বলেন, 'বিচারকের রায়ের সমালোচনা করার অধিকার বাক-স্বাধীনতার অংশ। তবে যদি কেউ স্বাধীনতার অপব্যবহার করে, তা সংবাদমাধ্যমই হোক বা আইনজীবীও হোক, তাকে শায়েস্তা করতে আদালতের হাত যথেষ্ট লম্বা।'
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, 'আমি চাই বিচার বিভাগ ও বিচারালয়কে যেন কোনোভাবেই রাজনীতিকরণ না করা হয়।'

তিনি বলেছেন, 'বিচারক ও আইনজীবীদের সম্মিলিত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সুবিচারের লক্ষ্য অর্জিত হবে। তাহলেই বিচার বিভাগের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ থাকবে।'

আজ রোববার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের আয়োজনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, 'দুর্নীতিমুক্ত বিচার বিভাগ দেশ ও জাতির গৌরব। আমার দায়িত্ব পালনের সময়, আমি আমার সহকর্মী বিচারক এবং বিজ্ঞ আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে দুর্নীতিমুক্ত বিচারব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।'

দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে গত ২৬ সেপ্টেম্বর শপথ নেন ওবায়দুল হাসান। 

আজকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি আদালত ও বিচারকদের নিয়ে প্রতিবেদন তৈরির সময় যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করার অনুরোধ করেন সাংবাদিকদের।

'সংবাদপত্র দেশের সমাজের প্রতিবিম্ব' উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'যেহেতু বিচারকরা সংবাদকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে বক্তব্য দিতে পারেন না, তাই অনুরোধ থাকবে আদালত বা বিচারকদের নিয়ে সংবাদ পরিবেশনে সতকর্তা অবলম্বন করবেন।'

তিনি বলেন, 'বিচারকের রায়ের সমালোচনা করার অধিকার বাক-স্বাধীনতার অংশ। তবে যদি কেউ স্বাধীনতার অপব্যবহার করে, তা সংবাদমাধ্যমই হোক বা আইনজীবীও হোক, তাকে শায়েস্তা করতে আদালতের হাত যথেষ্ট লম্বা।'

'কোনো বিষয় ভালোভাবে না জেনে বা যথেচ্ছভাবে বিচারক ও আদালত সম্পর্কে কটু মন্তব্য মোটেই সভ্যতার ইঙ্গিত বহন করে না,' বলেন তিনি।

সাক্ষী ও ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তায় দেশে এখনো কোনো আইন প্রণয়ন করা হয়নি উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, 'স্থানীয় প্রভাব ও ভয়ে সাক্ষীরা আদালতে সাক্ষীরা আসেন না, এলেও সত্য গোপন করেন। এতে মামলার বিচার প্রলম্বিত হয়। এই অবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন।'

Comments