উপকূলীয় অঞ্চলকে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ বিশেষ এলাকা ঘোষণার দাবি
দেশের উপকূলীয় অঞ্চলকে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ বিশেষ এলাকা ঘোষণাসহ বেশ কিছু দাবি উঠেছে জাতীয় উপকূল সংলাপে।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে 'উপকূলের মানুষের ইশতেহার' শীর্ষক এ সংলাপে এসব দাবি উত্থাপন করা হয়।
উন্নয়ন সংস্থা 'লিডার্স' এবং 'পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক (প্রান)' আয়োজিত এ সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র।
সংলাপে উত্থাপিত দাবিগুলো হলো-উপকূলীয় অঞ্চলকে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ বিশেষ এলাকা ঘোষণা করা, এ জনপদের সুরক্ষা ও উন্নয়নে প্রতি অর্থবছরে জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখা, টেকসই উন্নয়নে উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড গঠন, নিরাপদ খাবার পানির স্থায়ী ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
এছাড়া, দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উপকূলীয় এলাকায় 'একটি বাড়ি একটি শেল্টার হোম' কার্যক্রম, বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবনের ইকোসিস্টেম রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া ও বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে উপকূলে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলা এবং স্থায়ী-মজবুত বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের দাবি জানানো হয় সংলাপে।
সংলাপে অংশ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা আগামী নির্বাচনী ইশতেহারে উপকূলীয় অঞ্চলের উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার তুলে ধরার ঘোষণা দেন।
সংলাপে অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন উপকমিটির সদস্য শেখর দত্ত, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম সংগঠক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির কেন্দ্রীয় সদস্য মানবেন্দ্র দেব, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোস্তফা আলমগীর রতন ও সাব্বাহ আলী খান কলিন্স।
এতে প্রধান আলোচক ছিলেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মনজুরুল আহসান বুলবুল। আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ওয়াটারকিপার্স-বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি কাওসার রহমান প্রমুখ।
Comments