মাছ ধরার ট্রলারে বসছে অবস্থান শনাক্তের যন্ত্র
উপকূলীয় এলাকায়, সমুদ্রে চলাচলকারী মাছ ধরার ট্রলারের অবস্থান শনাক্তের গ্লোবাল সিস্টেম অব মোবাইল কমুনিকেশনস (জিসিএম) ডিভাইস বসানো হচ্ছে।
গত এক মাসে বরিশাল বিভাগে অন্তত ৬৯টি মাছ ধরা নৌকায় এ ধরনের ডিভাইস বসানো হয়েছে। এটি দিয়ে শুধু লোকেশন ট্রাকিং করা যাবে।
দি বাংলাদেশ সাসটেইনাবেল কোস্টালএ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের (বিএসছিএমএফপি) বরিশাল বিভাগীয় উপ পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, 'আমরা ইতোমধ্যে বরিশাল বিভাগে সাড়ে ৯ হাজার ফিশিং বোটের নিবন্ধন করেছি, যাদের গতি ১৩ হর্স পাওয়ারের ওপরে। এই ধরনের জাহাজে আমরা এই জিসিএম ডিভাইসটি বসানো শুরু করেছি। গত ১১ জুলাই এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে, ইতোমধ্যে ভোলার তজুমদ্দিনে ২৫টি ও চরফ্যাশনে ৪৪টি বসানো হয়েছে। এই যন্ত্রটি মূলত লোকেশন সম্পর্কে ধারণা দিবে। এটি তটরেখা থেকে ৫৫ কিমি পর্যন্ত রেঞ্জে নৌকাটির অবস্থান বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিবে। এর মাধ্যমে জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমার কোথায় আছে তা নিয়ে সিগন্যাল দিবে। তবে এটি কোনো পাল্টা মেসেজ দিবে না।'
তিনি আরও বলেন, 'বর্তমান ডিভাইস থেকে আবহাওয়া সতর্কতা বার্তা দেওয়া সম্ভব নয়, কেননা এই ডিভাইসের কোনো মনিটর নেই। চট্টগ্রামে অবস্থিত সার্ভার থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। পরবর্তীতে যদি এই যন্ত্রের কোনো মডিফিকেশন সম্ভব হয়, তাহলে হয়তো আবহাওয়া সংকেত দেওয়া সম্ভব হবে। প্রাথমিক ভাবে সারাদেশে সমুদ্রগামী ও উপকূলীয় এলাকায় চলাচলকারী ২১ হাজার জাহাজে এই ডিভাইসটি লাগানো সম্ভব। এর মধ্যে একটি সিম আছে।'
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা মেরিন কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান জানান, 'এই উপজেলায় ৬ হাজার মাছ ধরার বোট থাকলেও মাত্র ৪০০ বোটে ডিভাইস বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্তত ৪৪টি বোটে বসানো সম্পন্ন হয়েছে। এর মাধ্যমে লোকেশন ট্রাকিং করা যাবে। তবে এটি এখনো চালু হয়নি, কবে চালু হবে জানি না।'
চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট এলাকার ফিশিং বোটের মালিক ও জেলে মো. বাবুল জানান, তার বোটসহ বেশ কয়েকটি বোটে এই যন্ত্র বসানো হয়েছে।
বরিশাল ভিভাগীয় মৎস্য অফিসের উপপরিচালক আনিসুর রহমান তালুকদার জানান, এই ডিভাইস লাগানো হলে সাম্প্রতিক ঝড়ে নিখোঁজ ট্রলারের সন্ধান করা সহজসাধ্য। এই প্রজেক্ট দ্রুত শেষ হলে ইলিশ জেলে ও ট্রলার সন্ধান নিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে না।
Comments