রাত ৩টা থেকে অপেক্ষায় ছিলেন টানেলের প্রথম চালক শাহাদাৎ

বঙ্গবন্ধু টানেল। ছবি: স্টার

বঙ্গবন্ধু টানেলে সবার আগে প্রবেশ করতে টানেল এলাকায় রাত ৩টা থেকে অপেক্ষায় ছিলেন কক্সবাজারের মাইক্রোবাস চালক মোহাম্মদ শাহাদাৎ। তিন ঘণ্টা অপেক্ষা শেষে সকাল ৬টায় আনোয়ারা প্রান্ত দিয়ে ছয় জন যাত্রী নিয়ে প্রবেশ করেন তিনি।

শাহাদাতের মতো আরও অনেকেই টানেলের দুই প্রান্তে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা শেষে টানেলে প্রবেশ করেছেন। মূলত টানেলে ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিতেই প্রবেশ করেছেন বলে জানান তারা।

মোহাম্মদ শাহাদাৎ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে কয়েক দিন আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে টানেল নিয়ে আমরা সবার প্রথম প্রবেশ করব। সেই জন্য গতকাল রাত ৩টার দিকে আমরা টানেল এলাকায় এসে বসে ছিলাম। সকাল ৬টায় আমরা প্রথম টানেলে প্রবেশ করি।'

একইভাবে টানেলে প্রবেশে উচ্ছাস প্রকাশ করেন স্বপরিবারে দেখতে আসা নুরজাহান। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ছেলে-মেয়ে নিয়ে গ্রামের বাড়ি সাতকানিয়া ঘুরতে গিয়েছিলাম গতকাল। গতকাল রাতে শহরে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু টানেল নিয়ে প্রবেশ করার জন্য আজ ভোরে এখানে আসি। গাড়ির তেমন ভিড় না থাকায় মাত্র পাঁচ মিনিটেই টানেল পার হয়ে যাই।'

উপপ্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সাত ঘণ্টায় ৫৬১টি গাড়ি প্রবেশ করেছে। এসব যানবাহন থেকে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

5h ago