শ্রমিক বিক্ষোভ: প্রায় ৩০০ পোশাক কারখানা বন্ধ

মজুরি বাড়ানোর দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভে প্রায় ৩০০ কারখানা বন্ধ আছে। ছবিটি গতকাল আশুলিয়া থেকে তোলা। ছবি: পলাশ খান

মজুরি বাড়ানোর দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভের মধ্যে প্রায় ৩০০ কারখানা বন্ধ আছে।

বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আজকে পর্যন্ত প্রায় ৩০০ পোশাক কারখানা বন্ধ আছে। বন্ধ কারখানাগুলোর মধ্যে আশুলিয়া এলাকাও রয়েছে।

এর মধ্যে ১৩ (১) ধারায় কয়েকটি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে বেশিরভাগ কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে গাজীপুর শিল্প পুলিশ সুপার সারওয়ার আলম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গাজীপুরে ২২০টি পোশাক কারখানা বন্ধ আছে এবং আশুলিয়ায় ৫০-৬০টি কারখানা বন্ধ আছে বলে জানিয়েছেন আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন।

অস্থিতিশীল অবস্থার কারণে বুধবার পর্যন্ত গাজীপুর, কোনাবাড়ি, বাসন, মৌচাক ও কাশিমপুর এলাকার দুই শতাধিক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, বলে জানান গাজীপুর শিল্প পুলিশ সুপার সারওয়ার আলম।

এই কর্মকর্তা বলেন, মজুরি বাড়ানোর দাবিতে শ্রমিকরা ওই সব এলাকার বিভিন্ন স্থানে জড়ো হয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন।

তবে কতজন শ্রমিক রাস্তায় নেমেছেন তা জানাতে পারেননি তিনি। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি বিক্ষোভে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক জড়ো হন।

এক সপ্তাহ আগে পোশাকশ্রমিকদের দাবিকৃত ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার ৩৯৩ টাকার পরিবর্তে মালিকেরা ১০ হাজার ৪০০ টাকা করার প্রস্তাব দেয়।

বর্তমানে তৈরি পোশাক খাতে ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা, যা পাঁচ বছর আগে নির্ধারণ করা হয়েছিল।

কিছু কিছু এলাকায় বিক্ষোভ সহিংস রূপ নেয়।

বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, গত সপ্তাহে কয়েকশ কারখানা ভাঙচুর করা হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) দেশের শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।

Comments

The Daily Star  | English
Unhealthy election controversy must be resolved

Unhealthy election controversy must be resolved

Just as the fundamental reforms are necessary for the country, so is an elected government.

12h ago