এবার নৌকা জিতবেই: প্রধানমন্ত্রী

দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণ অব্যাহত রাখতে দেশবাসীকে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরামবাগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন। ছবি: পিআইডি

দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণ অব্যাহত রাখতে দেশবাসীকে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, 'ইনশাল্লাহ দেশের জনগণ আগামীতেও নৌকায় ভোট দেবে এবং আমরা জনগণের সেবা করে যাব।'

'এবার নৌকা জিতবেই' দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকেলে রাজধানীর আরামবাগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন এবং নর্দান রুটে এমআরটি লাইন-৫ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

আগামী সাধারণ নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে এবং যে কোনো সময় তফসিল ঘোষণা করা হবে উল্লেখ করে তিনি তার দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

তিনি দলের মনোনয়ন প্রসঙ্গে বলেন, আগামী নির্বাচনে কাকে নমিনেশন দেওয়া হবে সেটা আমরাই ঠিক করে দেব। যাকে নমিনেশন দেব ঐক্যবদ্ধ ভাবে তার পক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে, যেন আবার আমরা এ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারি।

তিনি বলেন, এখনও অনেক উন্নয়ন কাজ বাকী। সেগুলো যেন সম্পন্ন করতে পারি। কারণ, অগ্নিসন্ত্রাসী এবং জঙ্গিবাদীরা ক্ষমতায় এলে এ দেশকে আর টিকতে দেবে না। সেজন্যই জনগণের স্বার্থে, জনগণের কল্যাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

তিনি বলেন, একমাত্র নৌকা মার্কাই পারে স্বাধীনতা ও উন্নয়ন দিতে। এই নৌকা মার্কায় ভোট প্রদানের জন্য তিনি সকলের প্রতি বিশেষ করে ঢাকাবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, এই নৌকা মার্কায় ভোটি পেয়েছিলাম বলেইতো এত উন্নতি হয়েছে সেই কথাটা যেন তারা মনে রাখেন।

তিনি তার দল যাকেই মনোনয়ন দেয় তাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে ঢাকাবাসীর প্রতিশ্রুতি কামনা করলে সকলে দুইহাত তুলে সমস্বরে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

তিনি সবার দোয়া চেয়ে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের কাছে অনুরোধ আপনারা দলের সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন এবং ঘাতকের দল, সন্ত্রাসী দল বিএনপি এবং যুদ্ধাপরাধীর দল জামায়াত-এরা যেন এদেশের মানুষকে আর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারতে না পারে। অত্যাচার করতে না পারে। এর জন্য সজাগ থাকতে হবে। এদেরকে প্রতিহত করতে হবে।

আগুন সন্ত্রাসীদের শাস্তির আওতায় আনার প্রত্যয় পুণর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, যারা এরমধ্যে জড়িত, যারা হুকুমদাতা সে দেশে থাকুক আর বিদেশিই থাকুক। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি আর সেই সুযোগ ব্যবহার করে বিদেশে বসে হুকুম জারি করে ওই বিদেশ থেকে ধরে এনে ইনশাল্লাহ এই বাংলাদেশে শান্তি দেব ওই কুলাঙ্গারকে। কেউ ছাড় পাবে না।

বার বার হত্যা চেষ্টাতেও তিনি ভীত নন উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, আমি বাংলাদেশের জনগণের জন্য কাজ করতে এসেছি এবং বাবা-মা-ভাই সব হারিয়েছি। আমার হারাবার কিছু নেই আবার পাওয়ারও কিছু নেই। একটাই লক্ষ্য এই দেশের মানুষকে শান্তিতে রাখা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। আরও বক্তব্য দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। স্থানীয় সংসদ সদস্য ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি রাশেদ খান মেননও বক্তৃতা করেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মান্নাফী সভায় সভাপতিত্ব করেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করেন। পরে তিনি মতিঝিল প্রান্তে এমআরটি লাইন-৫ এর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। যেটি হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার হবে পাতাল রেল।

তিনি আগাঁরগাও প্রান্তে এমআরটি লাইন-৬ এর আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের অংশের উদ্বোধন শেষে টিকেট কেটে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল প্রথম মেট্রো রেল যাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, ডিসিসির দুই মেয়র, সংসদ সদস্যসহ ঊর্ধ্বতন বেসমারিক ও সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, বিশিষ্ট নাগরিক, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং কর্তব্যপালনরত সাংবাদিকবৃন্দ মেট্রোরেলে তার সহযাত্রী হন।

Comments