বাংলাদেশ

পোশাকশ্রমিকদের ওপর সহিংস দমন-পীড়ন বন্ধের আহ্বান মার্কিন শ্রম দপ্তরের

রাসেল হাওলাদার ও আঞ্জুয়ারা খাতুনের ওপর পুলিশের ‘গুলিবর্ষণের’ নিন্দা জানিয়েছে মার্কিন শ্রম দপ্তর। 
গত শনিবার আশুলিয়ায় আন্দোলনরত পোশাকশ্রমিকদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করছে পুলিশ। ছবি: পলাশ খান/স্টার

শ্রমিকদের ওপর সহিংস দমন-পীড়ন বন্ধ করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন শ্রম দপ্তর। 

একইসঙ্গে দুই শ্রমিক রাসেল হাওলাদার ও আঞ্জুয়ারা খাতুন নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছে তারা। 

বুধবার এক বিবৃতিতে দপ্তরের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া লি বলেছেন, তারা বাংলাদেশের ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনার ক্ষেত্রে শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নিস্টদের ওপর সহিংসতা বৃদ্ধি এবং দমন-পীড়ন নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

রাসেল হাওলাদার ও আঞ্জুয়ারা খাতুনের ওপর পুলিশের 'গুলিবর্ষণের' নিন্দা জানিয়েছে মার্কিন শ্রম দপ্তর। 

বিবৃতিতে বলা হয়, ডিজাইন এক্সপ্রেস ফ্যাক্টরির ২৬ বছর বয়সী রক্ষণাবেক্ষণ অপারেটর এবং সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সদস্য হাওলাদার বিক্ষোভের সময় নিহত হন। সেলাই মেশিন অপারেটর এবং দুই সন্তানের মা ২৩ বছর বয়সী আঞ্জুয়ারা খাতুনও বিক্ষোভের সময় নিহত হন। 

'আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই শ্রমিকদের সমাবেশের স্বাধীনতাকে সম্মান করতে, শ্রমিকদের ওপর সহিংস দমন-পীড়ন বন্ধ করতে এবং রাসেল হাওলাদার ও আঞ্জুয়ারা খাতুন হত্যায় পুলিশের জড়িত থাকার অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত পরিচালনা করতে', বিবৃতিতে বলা হয়। 

ন্যূনতম মজুরি আন্দোলনের ঘটনায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশ মুক্ত গার্মেন্ট শ্রমিক ইউনিয়ন ফেডারেশনের শ্রমিক সংগঠক জুয়েল মিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন শ্রম দপ্তর। 

'আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সাম্প্রতিক ন্যূনতম মজুরির সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করছি, যাতে তারা শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের চাহিদা পূরণ করে এমন ন্যায়সঙ্গত ক্ষতিপূরণ প্রদান করে', বিবৃতিতে বলা হয়। 

ভবিষ্যতের অস্থিরতা রোধ করার জন্য, মার্কিন শ্রম দপ্তর বিদ্যমান শ্রম আইন সংশোধনেরও আহ্বান জানিয়েছে।

ন্যূনতম মাসিক মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার দাবিতে গত দুই সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করছিলেন পোশাকশ্রমিকরা। 

কিন্তু গত বুধবার সরকার গঠিত মজুরি বৃদ্ধি কমিটি ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে। এর প্রতিবাদে আবারও আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন।

 

Comments