ভারতকে দ্রুত তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান বাংলাদেশের

এছাড়া, রপ্তানিযোগ্য পণ্য থেকে বাণিজ্য বাধা অপসারণ এবং দুই দেশের মধ্যে প্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করারও অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ও ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা। ছবি: বাসস

ভারতকে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

আজ শুক্রবার নয়াদিল্লিতে দুই দেশের মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) চলাকালে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার কাছে এ অনুরোধ জানান।

এ বৈঠকে রপ্তানিযোগ্য পণ্য থেকে বাণিজ্য বাধা অপসারণ এবং দুই দেশের মধ্যে প্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করারও অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

এটি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশন। প্রথমটি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।

আজকের বৈঠকে পররাষ্ট্রসচিব মোমেন রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে ভারতের সহায়তা কামনা করেন।

এছাড়া, দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে ভিসা প্রদান প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য তিনি ভারতের প্রতি অনুরোধ জানান।

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা 'বাংলাদেশকে বিশ্বস্ত প্রতিবেশী' হিসেবে উল্লেখ করে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

তিনি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত গ্লোবাল সাউথ এবং জি-২০ এর ভার্চুয়াল বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন। 

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে ভারতের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন কোয়াত্রা। এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপরও জোর দেন তিনি।

যোগাযোগ ও জ্বালানি খাতে দুই দেশের যৌথ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনের কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, এই ধরনের সহযোগিতা শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বাস্তব ফলাফলকে প্রতিফলিত করে।

দুই পররাষ্ট্রসচিব আলোচনার সময় উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য, আঞ্চলিক যোগাযোগ, আঞ্চলিক পাওয়ার গ্রিড সংযোগ, নিরাপত্তা ও পানি সমস্যা, কনস্যুলার ও সাংস্কৃতিক বিষয়সহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারের ওপর জোর দেন।

এছাড়া, সীমান্ত শান্তিপূর্ণ রাখতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ওপরও জোর দেন তারা।

সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন নয়াদিল্লিতে বিদেশি মিশনের প্রায় ৯০ কূটনীতিককে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিষয়ে ব্রিফ করবেন বলে  জানা গেছে।

 আশা করা হচ্ছে, যারা একই সাথে নতুন দিল্লিতে বসবাসের সাথে বাংলাদেশে স্বীকৃত।
ব্রিফিংয়ের সময়, তিনি  ধরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

Comments