বাংলাদেশ

ফৌজদারি আইনে মৃত্যুদণ্ডের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট

ফৌজদারি আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট

ফৌজদারি আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান এই আবেদনে বলেছেন, সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান সংবিধানের ৩২ এবং ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদ এবং আন্তর্জাতিক চুক্তি ও কনভেনশনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

সংবিধানের ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, 'আইনানুযায়ী ব্যতীত জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতা হইতে কোন ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা যাইবে না।'

৩৫(৫) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, 'কোনো ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দেওয়া যাইবে না কিংবা নিষ্ঠুর, অমানুষিক বা লাঞ্ছনাকর দণ্ড দেওয়া যাইবে না কিংবা কাহারও সহিত অনুরূপ ব্যবহার করা যাইবে না।'

দণ্ডবিধির ৫৩ ধারা ও ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৬৮(১) ধারায় থাকা মৃত্যুদণ্ডের বিধান কেন অসাংবিধানিক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না জানাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিবাদী করে রুল জারির জন্য রিট আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

দণ্ডবিধির, ১৮৬০, এর ৫৩ ধারায় প্রথমত মৃত্যুদণ্ড ও দ্বিতীয়ত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮, এর ৩৬৮ (১) ধারায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার উপায় হিসেবে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার কথা বলা হয়েছে।

রিট আবেদনকারী ইশরাত হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের মানবাধিকার সর্বজনীন ঘোষণা, ১৯৪৮ সহ আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং কনভেনশনের স্বাক্ষরকারী, যেখানে শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করাকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে শতাধিক দেশে মৃত্যুদণ্ডের বিধান বাতিল করা হয়েছে।

Comments