পাথর লুটকারীদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট, আগের জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ

সিলেটের ভোলাগঞ্জ থেকে পাথর লুটকারীদের তালিকা তৈরি করে ৬০ দিনের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এজন্য, সিলেট জেলা প্রশাসন, বিজিবি ও র্যাবের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে, লুট হওয়া পাথরের খোঁজ করে সেগুলো সংগ্রহ করে ভোলাগঞ্জে আগের জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
হাইকোর্ট বেঞ্চ একটি রুল জারি করে ভোলাগঞ্জ থেকে সাদা পাথর উত্তোলন ও অপসারণ বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং সাদা পাথর রক্ষার জন্য এলাকাটিকে পরিবেশগতভাবে সংকটপূর্ণ এলাকা হিসেবে কেন ঘোষণা দেওয়া হবে না, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে তার ব্যাখ্যা চেয়েছেন।
আদেশে পাথর লুটের কারণে আর্থিক ক্ষতির মূল্যায়ন এবং তিন মাসের মধ্যে সে সম্পর্কে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বুয়েটের একজন অধ্যাপকের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে বলেছেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
ভোলাগঞ্জের যেসব এলাকা থেকে পাথর লুট করা হয়েছে, সেগুলো তদারকির জন্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে একটি মনিটরিং টিম গঠন করে দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
রুলে, সাদা পাথর লুটের পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের কাছ থেকে পরিবেশগত ক্ষতির সমপরিমাণ অর্থ আদায়ের জন্য কেন তাদের নির্দেশ দেওয়া হবে না তার কারণ দর্শাতেও হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষ থেকে এ রিট দায়ের করা হয়েছিল।
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মনজিল মুরশিদ হাইকোর্টকে জানান, প্রশাসনের নাকের ডগায় স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে ভোলাগঞ্জ থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকার সাদা পাথর চুরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এলাকাটি একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত এবং হাজারো মানুষ সাদা পাথরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে সেখানে যান।
ওই এলাকাকে রক্ষা ও পাথর সংরক্ষণের জন্য আদালতের কাছে তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চান।
Comments