ঘন কুয়াশায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সাড়ে ৫ ঘণ্টা ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ

প্রতিদিন এ বিমানবন্দরে মোট ১২ জোড়া ফ্লাইট ওঠানামা করে। বিমান বাংলাদেশ, ইউএস-বাংলা, নভোএয়ার ও এয়ার অ্যাসট্রা এসব ফ্লাইট পরিচালনা করে।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর
সৈয়দপুর বিমানবন্দর। ছবি: সংগৃহীত

ঘন কুয়াশার কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আজ মঙ্গলবার ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ছিল প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা।

কুয়াশার কারণে পাইলটদের দৃষ্টিসীমা সীমিত হয়ে যাওয়ায় আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এ বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ অবতরণ ও উড্ডয়নের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

সৈয়দপুর বিমানবন্দরের আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিদিন এ বিমানবন্দরে মোট ১২ জোড়া ফ্লাইট ওঠানামা করে। বিমান বাংলাদেশ, ইউএস-বাংলা, নভোএয়ার ও এয়ার অ্যাসট্রা এসব ফ্লাইট পরিচালনা করে।

সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে জেলায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ভোর থেকে কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা অনেকখানি কমে যাওয়ায় দুপুর ২টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত কোনো ফ্লাইট ওঠানামা করতে পারে নাই।

আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন,  'উড়োজাহাজ স্বাভাবিক চলাচলের জন্য ১৫০০ মিটার দৃষ্টিসীমা দরকার। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে আজ ভোর ৬টা থেকে তা কমে দাঁড়ায় মাত্র ৪০-৫০ মিটার।'

'নিরাপদ উড্ডয়ন ও অবতরণের জন্য পরিষ্কার ও দীর্ঘ দৃষ্টিসীমা খুবই প্রয়োজন,' বলেন তিনি।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে ঢাকা থেকে আসা প্রথম ফ্লাইট অবতরণের কথা ছিল সাড়ে ৯টায়। কিন্তু, খারাপ আবহাওয়ার কারণে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত এটিসহ কোনো ফ্লাইট অবতরণ ও উড্ডয়নের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ম্যানেজার সুপ্লব কুমার ঘোষ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এরপর একে একে অন্য ফ্লাইটগুলোর আগমন ও প্রস্থান চলতে থাকে।'

Comments

The Daily Star  | English

Half of Noakhali still reeling from flood

Sixty-year-old Kofil Uddin watched helplessly as floodwater crept into his home at Bhabani Jibanpur village in Noakhali’s Begumganj upazila on August 10. More than a month has passed, but the house is still under knee-deep water.

4h ago