বিদেশিরা আমাদের আইন জানলে ড. ইউনূসের রায় নিয়ে প্রশ্ন তুলতেন না: অ্যাটর্নি জেনারেল

তিনি বলেন, যদি ড. ইউনূস প্রথমেই তার অপরাধ স্বীকার করতেন, তাহলে কোনো বিচার হতো না।
অ্যাটর্নি জেনারেল
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। ফাইল ফটো

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, বিদেশিরা যদি এ দেশের আইন সঠিকভাবে জানতেন, তাহলে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের রায় নিয়ে প্রশ্ন তুলতেন না।

আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অ্যাটর্নি জেনারেল এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিচার সম্পন্ন হয়েছে এবং সঠিক রায় দেওয়া হয়েছে। আমার মনে হয়, তাদের (বিদেশিদের) আমাদের দেশের আইন ও আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই। এ কারণেই, তারা আমাদের দেশের কিছু মানুষের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিবৃতি দিচ্ছেন।'

ড. ইউনূসের বিচার কার্যক্রম তড়িঘড়ি করে করা হলো কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, 'শ্রম আদালত একটি পৃথক আদালত, যেখানে যেকোনো মামলার দ্রুত বিচার সম্পন্ন হয়।'

তিনি বলেন, 'শ্রমিকদের অধিকার  থেকে বঞ্চিত করায় তাকে (ইউনূস) প্রথমে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশে উল্লেখ করা দাবিগুলো না মানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পরে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে তার বিরুদ্ধে মামলার বিচার কার্যক্রম চ্যালেঞ্জ করেন তিনি। সর্বোচ্চ আদালত তার আবেদন খারিজ করার পর, সংশ্লিষ্ট শ্রম আদালত প্রমাণ ও নথির ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে মামলার বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।'

অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, 'যে রাজনৈতিক দল সরকার ও রাষ্ট্রের যেকোনো সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে, তারাই হয়তো রঙচং মাখিয়ে বিদেশিদের তথ্য দিচ্ছে।'

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'যদি তিনি (ইউনূস) প্রথমেই তার অপরাধ স্বীকার করতেন, তাহলে কোনো বিচার হতো না। সেক্ষেত্রে যদি আদালত তাকে সাজা দিতেন, সেটা হতো একটি ব্যতিক্রম।'

'আমি আমাদের দেশে দেখিনি যে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলে, তিনি অপরাধ স্বীকার করেন,' যোগ এ এম আমিন উদ্দিন।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সরকারের করা মামলায় গতকাল ঢাকার শ্রম আদালত-৩ অধ্যাপক ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।

অপর তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালক আশরাফুল হাসান, নুরজাহান বেগম ও এম শাহজাহান।

পৃথক জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই আদালত তাদের এক মাসের জামিন মঞ্জুর করেন।

Comments

The Daily Star  | English
interim government struggles with decision-making

Interim govt struggling on many fronts

The government on around a dozen occasions has backtracked on its decisions during its two months in office, casting doubts about its resolve.

13h ago