ঢাকার রাস্তা ‘ফাঁকা’
বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিন আজ শনিবার সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকার রাস্তায় যানবাহন ও মানুষের সংখ্যা তুলনামূলক কম।
সকালে সরেজমিনে মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, বাংলামোটর, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার মোড়, পান্থপথ, ধানমন্ডি-২৭, শ্যামলী, কলাবাগান, বিজয় সরণি, কাকরাইল, পল্টন ও মতিঝিল এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদক জানিয়েছেন, এসব এলাকায় যাত্রীবাহী বাস তেমন দেখা যায়নি। ফাঁকা রাস্তায় কোনো ট্রাফিক সিগন্যাল না থাকায় গাড়ি কিংবা মোটরসাইকেলের মতো ব্যক্তিগত যানবাহন ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা নির্বিঘ্নে চলতে দেখা গেছে।
এসব এলাকায় অনেক দোকানপাট দুপুর ১২টা পর্যন্ত বন্ধ দেখা গেছে। পথে পথে ছিল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশসহ (বিজিবি) আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল। পাড়া-মহল্লার ভেতরের অলিগলিতেও লোক চলাচল ছিল তুলনামূলক কম।
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে কিছু আন্তঃজেলা বাস অল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়েই রাজধানী ছাড়তে দেখা গেছে।
রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কার্যালয়ে লাইসেন্স সংক্রান্ত কাজে এসেছিলেন ফারুক। তিনি ফিরবেন যাত্রাবাড়ী এলাকায়।
ফারুক বলেন, 'অন্যান্য দিন মিরপুর-১০ নম্বরে এলেই গাড়িতে উঠতে পারি। আজ অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরে শিকড় পরিবহনের একটি বাস পেয়েছি।'
বৈশাখী পরিবহনের একটি বাসের চালক মো. শামীমের মত 'রিকুইজিশন আতঙ্কে' রাস্তায় গাড়ি কম। তিনি বলেন, 'আমাদের বেশ কিছু গাড়ি রিকুইজিশনে গেছে। পুলিশ রিকুইজিশন নিলে যেমন টাকা দেওয়া কথা, তেমন দেয় না। গাড়িতে হয়তো আগে থেকেই ৫০ লিটার তেল ছিল, সেটাও তারা ব্যবহার করে। বলতে গেলে চালককে খাবার ছাড়া কিছুই দেয় না। সেই কারণে ভয়ে অনেকে গাড়ি বের করেনি।'
অন্যদিকে গত ২৮ অক্টোবর রাত থেকে তালাবন্ধ বিএনপির নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পাহারা দিতে দেখা গেছে।
নির্বাচনের জন্য ৭ জানুয়ারি (রোববার) সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অনেকেই রাজধানী ছেড়েছেন।
Comments