নির্বাচন পরবর্তী হামলা বন্ধের দাবি পূজা উদযাপন পরিষদের

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ

সারাদেশে নির্বাচন পরবর্তী সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। সেইসঙ্গে সহিংসতার জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।

আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এ দাবি জানান।

মানববন্ধনে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রনাথ পোদ্দার বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জ, বাগেরহাট, ফরিদপুর, ঝিনাইদহ, পিরোজপুর, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, লালমনিরহাট, কুমিল্লা, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে। অনেকে বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, কোথাও কোথাও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। কিছু কিছু এলাকায় এখনও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রশাসনিক ব্যবস্থা সত্ত্বেও পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

'যদিও সরকার ও নির্বাচন কমিশন নির্বাচন ও রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছিল, দুর্ভাগ্যবশত, ধর্মের ব্যবহার বন্ধ হয়নি, যার ফলে সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে,' তিনি যোগ করেন।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি নিম চন্দ্র ভৌমিক বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে আমরা সংখ্যালঘু কমিশন গঠন এবং সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়ে আসছি। এমনকি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ইশতেহারেও এর প্রতিশ্রুতি ছিল। নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার পরে, আমরা একটি সংখ্যালঘু কমিশন গঠন এবং একটি সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি করে অনুভব করছি। এসব পদক্ষেপের ফলে হামলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হবে।'

ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মণীন্দ্র কুমার নাথ বলেন, 'প্রতিটি নির্বাচনের পর রাস্তায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবাদ করার চ্যালেঞ্জ আমাদের মোকাবেলা করতে হয়। আমরা এখানে দাঁড়াতে চাই না। কারণ আমরা একটি মানবিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ দেখতে চাই।

আমরা বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ। তবে তার দলের ভেতরে কিছু সাম্প্রদায়িক নেতা নির্বাচনের পর সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

সংগঠনের নেতারা জানান, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সারাদেশে মানববন্ধন হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

5G goes live, but with few phones to connect

Bangladesh’s long-awaited 5G rollout began this week, but a lack of compatible handsets means the next-generation network is unlikely to see mass adoption anytime soon.

2h ago