আবারও মিয়ানমারের মর্টারশেল এসে পড়ল বাংলাদেশে, সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক

‘তবে এতে কেউ হতাহত হননি।’
আবারও মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল বাংলাদেশে এসে পড়েছে। ছবি: সংগৃহীত

আবারও মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল এসে পড়েছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের মধ্যমপাড়ায়।

আজ মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করে ঘুমধুম ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন জানান, মধ্যমপাড়ার একটি বাড়ির উঠোনে এসে পড়ে মর্টারশেলটি। তবে এতে কেউ হতাহত হননি। কিন্তু দ্বিতীয়বারের মতো মিয়ানমারের ছোড়া মর্টারশেল বাংলাদেশে এসে পড়ায় স্থানীয়দের মাঝে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।

তিনি আরও জানান, পাশাপাশি রাতভর সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলির আওয়াজ শোনা গেছে। সবমিলিয়ে স্থানীয়দের মনে এক ধরনের শঙ্কা বিরাজ করছে। তারা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন।

আনোয়ার হোসেন বলেন, 'আমাদের ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে চলে গেছে।'

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজকে টানা ৫-৬ দিন ধরে মিয়ানমারে গোলাগুলির কারণে এখানকার অধিবাসীরা আতঙ্কে আছে। গতকাল রাতব্যাপী সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলির আওয়াজ শোনা গেছে।'

স্থনীয়দের বরাত দিয়ে চেয়ারম্যান আরও বলেন, 'যতটুকু শুনেছি, ঘুমধুম ইউনিয়নের সম্মুখে মিয়ানমার অংশে তাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ক্যাম্প ও ফাঁড়ি আরাকান আর্মিরা দখলে নিয়েছে। এখন ঢেকিবুনিয়া বিজিপি ক্যাম্প দখলের যুদ্ধ চলছে। স্থানীয়রা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে চলে গেছে। এখনো গোলাগুলি চলছে। কখনো থেমে থেমে, কখনো লাগাতার গোলাগুলির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।'

ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইসি) মাহাফুজ ইমতিয়াজ ভুঁইয়া ডেইলি স্টারকে জানান, সারারাত ওপার থেকে গোলাগুলির আওয়াজ শোনা গেছে। সকাল পৌনে ১০টা পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

'মিয়ানমার থেকে যাতে কেউ অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য পুলিশ ও বিজিবি সতর্ক অবস্থানে আছে। জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি', বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago