বাংলাদেশ

বকেয়া বেতনের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে শ্রমিক বিক্ষোভ

গতকালও একই দাবিতে বিক্ষোভ করে শ্রমিকেরা
নারায়ণগঞ্জে বকেয়া বেতনের দাবিতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করছেন অবন্তি কালার টেক্স লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের বিসিক শিল্পাঞ্চলে বকেয়া বেতনের দাবিতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করছেন ক্রোনী গ্রুপের অবন্তি কালার টেক্স লিমিটেড কারখানার হাজারো শ্রমিক।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে কারখানার ভেতরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা।

গতকাল একই দাবিতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেন তারা।

শ্রমিকদের অভিযোগ, সকালে বিক্ষোভের সময় বহিরাগত লোকজন তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে শ্রমিকরা তাদের কারখানা থেকে বের করে দেন৷ এ সময় কারখানার ভেতরের একটি স্থান থেকে কয়েকটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা উদ্ধারের কথা জানান শ্রমিকরা৷ শ্রমিকদের দমন করতে এসব রাতেই কারখানায় এনে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।

কারখানা শ্রমিকরা বলেন, সকাল থেকে কারখানায় শিল্প পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত থাকা অবস্থায় বহিরাগতরা কারখানায় প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করে৷ তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

কারখানাটির নিটিং সেকশনের শ্রমিক জামাল হোসেন বলেন, গত ছয় মাস যাবত বেতন নিয়ে সমস্যা করছে কারখানা কর্তৃপক্ষ৷ নানা অজুহাতে কিস্তিতে বেতন পরিশোধ করছে৷ বিক্ষোভ ছাড়া বেতন পরিশোধ করছে না।

'নিয়ম অনুযায়ী ২৫ তারিখে মাস শেষ হয়। পরবর্তী মাসের ১ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধ করার কথা৷ কিন্তু আজ ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখেও জানুয়ারি মাসের বেতন পাইনি৷ অনেকে ডিসেম্বরেরও আংশিক বেতন পেয়েছেন।'

শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কারখানাটির ডাইং ও নিটিংসহ বিভিন্ন সেকশনে অন্তত ১০ হাজার শ্রমিক কাজ করেন।

পরিস্থিতি শান্ত আছে জানিয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ মোতায়েন আছে।'

'শ্রমিকরা কোনো অস্ত্র উদ্ধার করেছে কিনা সে বিষয়ে আমরা জানি না৷ তবে, তেমনটা হয়ে থাকলে ওগুলো আমরা জব্দ করব', যোগ করেন ওসি।

দুপুর ১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শ্রমিক বিক্ষোভ চলছিল।

গত ২৪ ডিসেম্বর 'অর্ডার কমে যাওয়ার' কথা জানিয়ে ক্রোনী গ্রুপের প্রতিষ্ঠান 'ক্রোনী টেক্স সোয়েটার লিমিটেড' নামে কারখানাটি লে-অফ ঘোষণা করা হয়৷ প্রতিবাদে পরদিন সকালে কারখানাটির কয়েকশ শ্রমিক ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ সড়কে বিক্ষোভ করে।

Comments