গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের জিআই স্বীকৃতি নিশ্চিত করুন: প্রধানমন্ত্রী

দীর্ঘ ২৯ বছর অগণতান্ত্রিক শক্তি বাংলাদেশ শাসন করেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

দেশের গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার রাজধানীতে নিজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্বকালে তিনি এ নির্দেশ দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বাংলাদেশ সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বৈঠকে জিআই পণ্যের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।

তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী সবাইকে সক্রিয় হতে বলেছেন এবং আমাদের পণ্যের (জিআই সনদ) বিষয়ে উদ্যোগ নিতে বলেছেন।'

পেটেন্ট, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্ক বিভাগ (ডিপিডিটি) ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক এবং আটটি বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারকে প্রতিটি জেলায় জিআই পণ্যের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন টাঙ্গাইল শাড়ি, নরসিংদীর অমৃতা সাগর কলার ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লার জিআই সনদ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

ভারত সরকার টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই স্বীকৃতি দেওয়ার পর জিআই সার্টিফিকেশনের বিষয়টি সামনে আসে। তাদের দাবি, এই পণ্যের মূল উৎপত্তিস্থল পশ্চিমবঙ্গ।

ইতোমধ্যে মন্ত্রিসভা 'গ্রাম আদালত (সংশোধন) আইন ২০২৪' এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এই সংশোধিত আইন অনুযায়ী, গ্রাম আদালত তিন লাখ টাকা জরিমানা করতে পারবে। বর্তমানে গ্রাম আদালত ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারে।

বর্তমান আইন অনুযায়ী একটি গ্রাম আদালত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ পাঁচ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত। কিছু ক্ষেত্রে একজন সদস্যও অনুপস্থিত থাকলে আদালত কাজ করতে পারে না।

পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার বিভাগ আইনটি সংশোধনের প্রস্তাব করে যাতে কোনো সদস্য সভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য সাত দিন সময় পান। যদি কোনো সদস্য উপস্থিত হতে না পারেন, তাহলে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ভোট দেওয়ার ক্ষমতা চেয়ারম্যানের রয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

মন্ত্রিসভা 'স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) আইন ২০২৪' এর চূড়ান্ত অনুমোদনও দিয়েছে।

এখন থেকে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার কাজ সিটি করপোরেশনের পরিবর্তে সরকার করবে।

সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলররা এখন তিন মাসের পরিবর্তে এক মাসের ছুটি ভোগ করবেন বলেও জানান তিনি।

সিটি করপোরেশন নির্বাচন মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিন বা ছয় মাসের মধ্যে অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে। প্রস্তাবিত সংশোধনীতে বলা হয়েছে, নির্বাচন ৯০ দিন বা তিন মাসের মধ্যে হতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus meets Chinese ambassador to review China visit, outline next steps

Both sides expressed a shared commitment to transforming discussions into actionable projects across a range of sectors

1h ago