কেজি দরে বিক্রি করা ট্রাকবোঝাই সরকারি বই উদ্ধার, অধ্যক্ষকে শোকজ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে মাদ্রাসা থেকে বের করে নেওয়ার সময় সরকারি পাঠ্যবই বোঝাই একটি ট্রাক আটক করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, মোয়াজ্জেমপুর সিনিয়র মাদরাসার অধ্যক্ষ আবু বকর সিদ্দিক এসব বই কেজি দরে বিক্রি করে দিয়েছিলেন।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে পাঠ্যবই বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় ট্রাকটি আটক করা হয়। ছবি: স্টার

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে মাদ্রাসা থেকে বের করে নেওয়ার সময় সরকারি পাঠ্যবই বোঝাই একটি ট্রাক আটক করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, মোয়াজ্জেমপুর সিনিয়র মাদরাসার অধ্যক্ষ আবু বকর সিদ্দিক এসব বই কেজি দরে বিক্রি করে দিয়েছিলেন।

এই ঘটনায় আজ সোমবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সহকারী নেছার উদ্দিন কলাপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। সেই সঙ্গে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে আগামী তিন দিনের মধ্যে জবাব চেয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম মোস্তফা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, অধ্যক্ষ আবু বকর সিদ্দিক মাদ্রাসার সরকারি পাঠ্যবই ২০ টাকা কেজি দরে কালো বাজারে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। ক্রেতা ট্রাকবোঝাই বই নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা ইউএনওকে খবর দেন। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মোয়াজ্জেমপুর সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার সামনের সড়ক থেকে ট্রাকটি জব্দ করেন।

জব্দকরা বইগুলো পরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হেফাজতে রাখা হয়। বইগুলো ঝিনাইদহ শহরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলেও স্থানীয়রা সূত্রটি জানায়।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার গোলাম মোস্তফা জানান, ট্রাক থেকে ২ দশমিক ৭ টন বই পাওয়া গেছে। জব্দ তালিকায় ২০১৭ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ৮ শিক্ষাবর্ষের বই রয়েছে।

ইউএনও মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বিনামূল্যে বিতরণ করা পাঠ্যবই কোনো প্রতিষ্ঠান বিক্রি করতে পারে না। অতিরিক্ত বই থাকলে তা বিক্রির জন্য নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি কমিটি রয়েছে এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই কমিটি এসব বই নিলামে বিক্রির ব্যবস্থা করতে পারে। কিন্তু মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নিয়ম ভেঙে অপরাধ করেছেন। তাই তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জবাবর পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিকের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

Comments