রাঙ্গাবালী থেকে হাত-পা বেঁধে নারীকে তুলে নেওয়া সম্পর্কে যা জানা গেল

স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থেকে এক নারীকে হাত-পা বেঁধে তুলে নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার পর চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলেও পুলিশের দাবি, বিষয়টি রাজনৈতিক নয়, পারিবারিক।

রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নে এই ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার রাতে।

ঘটনার একটি ভিডিওটি শেয়ার করে কামাল গাজী নামে একজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, 'আমার বাড়ি থেকে আমার কলিজা বউকে এভাবে মেরে হাত-পা বেঁধে নিয়ে গেছে। দেশবাসীর সহযোগিতা চাই।' মুহূর্তেই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয়রা জানান, কামাল গাজীর সঙ্গে ওই নারীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পারিবারিক সম্মতি না থাকায় গত ২০ জুন তারা পালিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে মেয়েটি স্বামীর বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন।

তারা জানান, গতকাল রাতে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে নিয়ে কামালের বাড়ি যান মেয়েটির বাবা। মেয়েটি যেতে না চাইলে কয়েকজন মিলে তাকে জোরপূর্বক নিয়ে যায়। পরে ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, 'কামাল গাজী রাঙ্গাবালী উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। তার সঙ্গে ওই মেয়ের বিয়ের কোনো সাক্ষী বা দালিলিক প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি। নিষিদ্ধ সংগঠনের পদে থাকায় কামাল গাজী পলাতক।'

মেয়েটির বাবার বরাতে তিনি বলেন, 'মেয়েটির বয়স ১৭ বছর। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় পরিবার তাদের মেয়েকে ওই ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি না। তাই পরিবার লোকজন তাকে নিতে আসে। কিন্তু মেয়েটি বাবার সঙ্গে বাড়ি ফিরতে অস্বীকৃতি জানালে এভাবে তুলে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা।'

তিনি আরও বলেন, 'এখানে কোনো দলীয় বিষয় নেই। কোনো পক্ষ থেকেই এ ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়া যায়নি।'

এ বিষয়ে জানতে কামাল গাজীর মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করার হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

মেয়েটির বাবা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার মেয়ে গত বছর এইচএসসি পাস করেছে। তার বয়স ১৭ বছর। অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে আমরা এখনই বিয়ে দিতে চাই না বলেই তাকে নিয়ে আসতে যাই।'

জোরপূর্বক মেয়েটি তুলে আনার ভিডিওটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'ওইটা আমার মেয়ের ভিডিও কি না, সেটা জানি না। আমি আর এ বিষয়ে কিছুই বলতে চাই না।'

পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজলের দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও মেয়েটির বয়স ১৭ বছর বলে উল্লেখ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে ওই মেয়ের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও তা পারা যায়নি। তার বয়স ১৭ কি না, দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষে তা নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English
health sector reform in Bangladesh

Health sector reform: 33 proposals set for implementation

The Health Ministry has selected 33 recommendations from the Health Sector Reform Commission as it seeks to begin implementing the much-needed reform process in the country’s health system.

14h ago