চাঁদাবাজি সমাজে একটি সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ

‘বাড়ি নির্মাণ করতে হলেও চাঁদা দিতে হয়।’
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদাবাজি সমাজে একটি সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

আজ রোববার সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, চাঁদাবাজি একটি ভয়ানক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে।

'আমার সহকর্মী সংসদ সদস্যদের কাছে আবেদন—আসুন আমরা এই ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ হই, আমরা তাদের (চাঁদাবাজদের) সমর্থন না করে প্রতিহত করার অঙ্গীকার করি। এতে করে আমি মনে করি বাংলাদেশ টিকে থাকবে', বলেন তিনি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বরাত দিয়ে আনিসুল বলেন, পণ্য পরিবহনের সময় চাঁদা দিতে হয়, যার ফলে পণ্যের দাম বেড়ে যায়।

'বাড়ি নির্মাণ করতে হলেও চাঁদা দিতে হয়', বলেন তিনি।

কেউ যদি চাঁদার টাকা দিতে না চায়, তাহলে তাকে রড, ইট, সিমেন্ট বা বালু সরবরাহের কাজ দিতে হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আনিসুল ইসলাম আরও বলেন, গরিব হকারদের কাছেও চাঁদাবাজি করা হয়, রিকশা স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজরাও থাকে।

চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সামনে ভয়ংকর সমস্যা হবে বলে জানান তিনি।

সব সংসদ সদস্যকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চাঁদাবাজদের সমর্থন না করতে এবং তাদের প্রতিহত করার শপথ গ্রহণের আহ্বান জানান আনিসুল।

অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে আরেক জাপা সংসদ সদস্য ও বিরোধী দলীয় চিপ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম বিক্রির টাকা উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে ভাগাভাগি করা হয়েছে।

'এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ ইউনিট অতীতের মতো এই অর্থ ভাগাভাগির অংশ হতে চায়', বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য বলেন, 'এটা যদি সঠিক হয়, তাহলে জনগণকে জানাবেন কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।'

পয়েন্ট অব অর্ডারে অংশ নিয়ে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ঢাকাকে তীব্র বায়ুদূষণ থেকে মুক্ত করার ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

Comments