বাংলাদেশ

ইশারা ভাষা শিক্ষার ই-অভিধান চালু করল ইউএনডিপি

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪ উপলক্ষে একটি উদ্ভাবনী ‘সাইন ল্যাংগুয়েজ ই-ডিকশনারি’ বা ‘ইশারা ভাষা শিক্ষার অভিধান’ চালু করেছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।
ইশারা ভাষার সংকেত। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪ উপলক্ষে একটি উদ্ভাবনী 'সাইন ল্যাংগুয়েজ ই-ডিকশনারি' বা 'ইশারা ভাষা শিক্ষার অভিধান' চালু করেছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।

অভিধানটি ব্যক্তিদের ইশারা ভাষা শিখতে এবং শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে কার্যকরভাবে যোগাযোগ করতে সক্ষম করে তোলার লক্ষ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে।

ই-অভিধান, ইশারা ভাষার একটি বিস্তৃত শব্দভাণ্ডার সরবরাহ করে, নিচের লিংকে সরাসরি প্রবেশ করা যেতে পারে। এ ছাড়া, https://ishara.sonket.org/ এবং গুগল প্লে-স্টোর থেকেও এটি ডাউনলোড করা যাবে।

এই উদ্যোগটি সমস্ত দিক থেকে বৈচিত্র্য, সমতা এবং প্রবেশযোগ্যতা তুলে ধরার জন্য ইউএনডিপির চলমান প্রতিশ্রুতিতে জোর দেয়।

ইশারা ভাষায় ই-ডিকশনারি উন্মোচনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার।

তিনি বলেন, 'শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধীদের মধ্যে যোগাযোগ ও বোঝাপড়া বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইউএনডিপি বাংলাদেশ একটি অসাধারণ "ইশারা ভাষা শিক্ষার অভিধান" উন্মোচন করেছে।'

তিনি আরও বলেন, 'এই উদ্ভাবনী উদ্যোগটি কেবল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের চেতনার সঙ্গেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বরং আমাদের কাজের সমস্ত ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য, সমতা এবং প্রবেশযোগ্যতা প্রচারের জন্য আমাদের চলমান প্রচেষ্টাকেও প্রতিফলিত করে। ইশারা ভাষা শিক্ষার অভিধান একটি শক্তিশালী হাতিয়ার যা সাধারণ ব্যক্তিদের আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বোধগম্যতার সমাজ গঠনে শিখতে এবং অবদান রাখতে দেয়।'

ইউএনডিপি ব্যক্তি, সম্প্রদায় এবং সংস্থাকে ইশারা ভাষা ই-অভিধান অন্বেষণ এবং ব্যবহার করতে, অন্তর্ভুক্তির সংস্কৃতি লালন করতে এবং যোগাযোগের বাধাগুলো ভেঙে ফেলতে উৎসাহিত করে।

Comments