হিমাগারের ৩১ টন খেজুর জব্দ, ১৪ টনই মেয়াদোত্তীর্ণ

নারায়ণগঞ্জের কাচপুরের কুতুবপুর এলাকায় এক হিমাগারে অভিযান চালিয়ে ৩১ টন খেজুর জব্দ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এর মধ্যে ১৪ টন খেজুর ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ।
নারায়ণগঞ্জে কোল্ড স্টোরেজ থেকে জব্দ করা মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের কাচপুরের কুতুবপুর এলাকায় এক হিমাগারে অভিযান চালিয়ে ৩১ টন খেজুর জব্দ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এর মধ্যে ১৪ টন খেজুর ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম স্টার মাল্টিপারপাস কোল্ড স্টোরেজে অভিযানে যান। তিনি জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর বিক্রি করার জন্য হিমাগারে মজুত রাখা হয়েছিল। ২০২১ সালেই এসব খেজুরের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।

রমজান মাসকে কেন্দ্র করে খেজুরের দাম বৃদ্ধি নিয়ে ভোক্তা পর্যায়ে অসন্তোষের মধ্যে বিপুল পরিমাণ খেজুর জব্দের ঘটনা ঘটল।

আব্দুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা হিমাগারটিতে অভিযান চালিয়ে দুটি প্রতিষ্ঠানের ৩১ টন খেজুর মজুদ পান। তারিক হোসেনের মালিকানাধীন মৌসুমি এন্টারপ্রাইজের মজুদ করা ১৪ টন খেজুর ২০২১ সালে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যায়। মেয়াদ বাড়িয়ে ভুয়া স্টিকার লাগিয়ে খেজুর বাজারে বিক্রির পরিকল্পনা ছিল তাদের।

অন্যদিকে, মো. জিলানীর মালিকানাধীন মদিনা এন্টারপ্রাইজের ১৭ টন খেজুর মজুদ করার বিপরীতে কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি মালিকপক্ষ। বাজারে সংকট তৈরি করতে অবৈধভাবে মজুদ করায় এসব খেজুরও জব্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তবে এই অভিযানে কাউকে জরিমানা করা হয়নি।

'সংকট তৈরি করে তারা এই খেজুর বিক্রি করতে চেয়েছিল। আমরা খেজুর সিল করে দিয়েছি। এখনো পর্যন্ত কাউকে জরিমানা করা হয়নি। তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদনের পর জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে,' বলেন ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের ওই কর্মকর্তা।

Comments